ঢাকা: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ প্রকৌশলীরা ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
লংমার্চের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পকারখানার উৎপাদনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা নানা ধরনের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন। তারা জানান, সরকার ২০১২ সাল থেকে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে এলেও আজ পর্যন্ত কোনো দাবিই বাস্তবায়িত হয়নি, যা তাদের ক্ষুব্ধ করেছে।
প্রকৌশলীরা আরও বলেন, ছাত্র-জনতার সফল জুলাই বিপ্লবের পর যখন দেশ নতুন বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কিছু মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাদের সংগঠন আইইবি ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’-এর ব্যানারে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত পদগুলো উন্মুক্ত করা, সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি বন্ধ করে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া এবং ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতার দাবি জানাচ্ছে। আন্দোলনকারীদের মতে, এই দাবিগুলো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও নীতিবিরুদ্ধ।
আন্দোলনকারী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৭ দাবি-
১. প্রকৌশলীদের কর্মক্ষেত্র ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাগ করে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আলাদা কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত ১০ম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অনুপাত ১:৫ করতে হবে।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির বিদ্যমান ৩৩% বিধানকে ৫০%-এ উন্নীত করতে হবে।
৪. মেধার অপচয় রোধে প্রকৌশলীদের কারিগরি ক্যাডার ছাড়া অন্য ক্যাডারে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
৫. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার মান উন্নত করতে কোর্স কারিকুলাম ইংরেজিতে প্রণয়ন ও আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১২ নিশ্চিত করে শিক্ষক স্বল্পতা দূর করতে হবে।
৬. আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
৭. সকল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
ইএসএস/এসআইএস