ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৬, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবি

অবসর-কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী লিয়াজোঁ ফোরাম। একইসঙ্গে রায় কার্যকর না হলে আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫-এর পর কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই জোরালো দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অবসর গ্রহণের পর শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ও অবসর ফান্ডে জমা রাখা অর্থ পেতে ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের জন্য পিআরএল (পূর্ব অবসর ছুটি) না থাকায় অবসরের পর তারা কোনো মাসিক ভাতাও পান না। ফলে চিকিৎসা ও জীবন-জীবিকার সংকটে পড়তে হয় তাদের।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ শতাংশ কর্তন নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তী সময়ে সরকার অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন শুরু করে, যার বিপরীতে কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি।

এই বিষয়ে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী লিয়াজোঁ ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া করা রিট মামলায় হাইকোর্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন।

রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে টাকা প্রদান করতে হবে এবং অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

কিন্তু হাইকোর্টের এই গুরুত্বপূর্ণ রায় এখনো কার্যকর না হওয়ায় শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষকরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

অবসর-কল্যাণের পাশাপাশি সংগঠনটি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি- বিনোদন ভাতার দ্রুত সমাধান, বেতন-স্কেল সংস্কার, বদলি কার্যক্রম চালু, প্রমোশনের সুযোগ সৃষ্টি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ।

ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ