ঢাকা: নিজ নিজ কমিউনিটিতে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে উজ্জ্বল নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখায় চার বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তাকে সম্মাননা দিয়েছে ঢাকাস্থ কানাডা হাইকমিশন।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চার কর্মকর্তার হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেওয়া হয়।
আন্তজার্তিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে এ সম্মননা দেয় কানাডা সরকার।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ গউস, খুলনা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল, জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. সাহাব উদ্দিন খান এবং সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফারুক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এছাড়া জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস ও ঢাকাস্থ কানাডা হাইকমিশনার বেনুয়া পিয়েরে লারামি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাল্য বিয়ে রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তারানা হালিম বলেন, বাল্য বিয়ে নারীর মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির জন্য দায়ী। এটি নারীর ক্ষমতায়নেরও অন্যতম প্রতিবন্ধক।
ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার মেয়েদের আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মাধ্যমের অপব্যবহার বন্ধে সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়। এর ধারাবাহিকতায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
কানাডা হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাল্য বিবাহে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারি কর্মকর্তাদের অঙ্গীকার একান্ত অপরিহার্য। নিজেদের কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
‘তাদের সাহস আর ত্যাগ ও অধ্যবসায় সবার জন্য অনুপ্রেরণা দায়ক। ’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, যে কোনো দেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি কিশোরী প্রভাবক হিসেবে স্বীকৃত।
‘সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব বৈষম্য কিশোরীদের ওপর সুষ্পষ্ট নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এর অনিবার্য ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যু। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
জেপি/এমএ