ঢাকা: আইনে থাকলেও দেশের বহু শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা উপকরণ নেই। কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে থাকলেও শ্রমিকরা তা ব্যবহার করেন না।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জনউদ্যোগ ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) আয়োজনে ‘শিল্প-কারখানার অভ্যন্তরীণ শ্রমপরিবেশ: উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।
ইনিস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (আইইডি) এ বৈঠকে সহযোগিতা করেছে।
পবার চেয়াম্যান আবু নাসের খানের সভাপত্বিতে বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেলিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উৎপাদনমুখী, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, নারীবান্ধব, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার, মালিক-শ্রমিকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত, আহত ও নিহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে করণীয় জরুরি।
পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান বলেন, পোশাক, হেমলেট, সানগ্লাস, মাস্ক পরে কারখানায় কাজ করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তা মানা হয় না। কারখানার ধরন অনুসারে আলাদাভাবে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে।
পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, আইএলও’র নীতিমালা অনুসারে কাজ ভেদে কারখানাগুলো ডাস্টি, ডার্টি ও ক্যামিকেল এই তিন ভাগে বিভক্ত। এসব কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভিন্ন। কিন্তু বাংলাদেশ আইএলও এবং ডব্লিউএইচও’র এসব নীতিমালা মেনে চলে না। যে কারণে শ্রমিকরা ৪০/৪২ বছর বয়স হলে তাদের জীবনে সন্ধ্যা নেমে আসে।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি শিল্পখাত। কিন্তু নারী শ্রমিকদের জন্য অধিকাংশ কারখানার কর্মপরিবেশ নারীবান্ধব নয়। নারী শ্রমিকরা তুলনামূলকভাবে অসংগঠিত ও সস্তা বলে অনায়াসে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন।
২০০৮-১৪ সাল পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬৭৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
টিএইচ/এফবি/এএ