ঢাকা: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্বপালন কালে দুই দেশের সর্ম্পক উন্নয়নে অবদান রাখায় পঙ্কজ শরণের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সর্ম্পক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটি অর্জনে পঙ্কজ শরণ ব্যাপক অবদান রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতায় দুই দেশ নিরাপত্তা, কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক সর্ম্পক উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের আরো সফরের ওপর গুরুত্ব দেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত শুধু আমাদের সহযোগিতাই করেনি। তারা আমাদের মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছিলো।
পঙ্কজ শরণ প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পঙ্কজ শরণ বলেন, কখনো কোনো সমস্যা হলে আমরা সেটা ডায়ালগের মাধ্যমে সমাধান করবো।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আপনার সফর দুই দেশের সর্ম্পকের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায় দু’দেশের সর্ম্পককে।
পঙ্কজ শরণও দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের আরো বেশি সফরের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রদান প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, চলতি বছরে সাড়ে ৬ লাখ ভিসা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর ৭ লাখ হবে বলে আশা করছি।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এমইউএম/এমজেএফ
** যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু