ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাউন্সিলদের চাঁদাবাজি, সমর্থকদের জুলুমসহ নানা হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মেয়র আনিসুল হক বরাবর অভিযোগ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার্স (পিডব্লিসিএসপি) আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।
সংগঠনের সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে। এর সঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী জড়িত। তারা বিভিন্ন এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকাকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে আসছেন। একই সঙ্গে বর্তমান মেয়রের ক্লিন ঢাকা, গ্রিন ঢাকা গড়ায়ও অবদান রাখছেন।
লাকী অভিযোগ করে বলেন, সিটি নির্বাচনের পর বিভিন্ন এলাকায় কাউন্সিলরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় কাউন্সিলরা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেওয়ায় অনেক জায়গায় শত শত ভ্যান সার্ভিস বন্ধ করে দিচ্ছে। মারধরও করা হচ্ছে পরিচ্ছন্নকর্মীদের। অনেক জায়গায় কাউন্সিলরের লোকেরা কাজ ছিনিয়ে নিয়েছে। মেয়রের কাছে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেননি।
উত্তরার একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পর কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে
অস্বীকৃতি জানানোর ফলে পরিচ্ছন্নকর্মীদের মারধর ও ভ্যান সার্ভিস বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।
মগবাজার এলাকার একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পর স্থানীয় কাউন্সিলর ফয়েজুল মনির চৌধুরীর লোকজন চারটি এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বন্ধ করে দেয়। পরে কাজ বিক্রি করে দেয় অন্য একজনের কাছে।
রায়ের বাজার এলাকার একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত দু’মাস ধরে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। টাকা না দিলে কাজ অন্য লোককে দেওয়ার হুমকি দেয়। মেয়রের কাছে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেননি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাবর বলেন, ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় কাউন্সিলর ও তাদের সমর্থকরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়
হস্তক্ষেপ করছেন। অভিযোগেও ব্যবস্থা নেননি মেয়র। অনেক এলাকায় মেয়র জানেনও না তার লোকজন হস্তক্ষেপ করছেন।
তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বহু প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর এলাকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তার ক্লিন ঢাকা, গ্রিন ঢাকা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু চাঁদাবাজি, হামলার ভয়ে অনেক এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িতরা খুবই নিরীহ।
তাদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একই অবস্থা বলেও জানান বাবর।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
আরইউ/টিএইচ/এএ