ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আনজুয়ারা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তার স্বামী দুলাল প্রামাণিক ও সতিন চায়না খাতুন পলাতক রয়েছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ধুনট উপজেলার উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আনজুয়ারা খাতুন ধুনট উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের ভাই আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে আনজুয়ারা খাতুনকে উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে দুলাল প্রামাণিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। আনজুয়ারা দুলালের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগের দুই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আনজুয়ারাকে বিয়ে করেন দুলাল।
তিন মাস আগে আনজুয়ারার বিনা অনুমতিতে একই উপজেলার ঈশ্বরঘাট গ্রামের ইলা মণ্ডলের মেয়ে চায়না খাতুনকে (২২) বিয়ে করেন দুলাল। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই আনজুয়ারা ও দুলালের মধ্যে বিরোধ চলতে থাকে।
একপর্যায়ে আনজুয়ারাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দুলাল ও চায়না। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে আনজুয়ারার তিন সন্তান দোলেনা খাতুন ও হাসান-হোসেনকে কৌশলে রাঙ্গামাটি গ্রামে নানার বাড়িতে রেখে আসেন চায়না খাতুন।
এরপর বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আনজুয়ারাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দুলাল ও চায়না খাতুন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামে দুলালের বাড়িতে যান আনজুয়ারার স্বজনরা। পরে বুধবার সকালে ধুনট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পঞ্চনন্দ সরকার বাংলানিউজকে জানান, নিহত আনজুয়ারা খাতুনের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে থানায় একটি (ইউডি) অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
আরএ