ঢাকা: বিটিআরসি’র সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) অর্থ প্রত্যন্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তার, ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন এবং শিক্ষার্থীবাহী বাসে ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে।
পাশাপাশি দুর্যোগের পূর্বাভাস দেয়- এ ধরনের অ্যাপস ডেভলোপের ক্ষেত্রে ব্যয় করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে এসওএফ সম্পর্কিত এক আলোচনায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে পারি- সেজন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। ’
‘উদ্ভাবনী অ্যাপস, যেগুলো আমাদের তরুণ প্রজন্ম তৈরি করেছে যেমন- পাহাড় ধসের পূর্বাভাস দেওয়া অ্যাপসগুলোতে ফাইন্যান্স করবো। ’
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ঘোষণায় পাবলিক বাসগুলোতে এই অর্থে ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে, জানান তারানা হালিম।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বাস, বিশেষ করে যে পাবলিক বাসগুলো শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে সেগুলোতে ওয়াইফাই দেওয়া হবে।
বিটিআরসি জানায়, ২০১২ সালে মোবাইল অপারেটরদের আয়ের এক শতাংশ করে কেটে নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল গঠন করা হয়।
মোটা দাগের একটা অংশ দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সুরক্ষা, অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভির সঙ্গে সঙ্গে ওয়ারলেস কানেকটিভিটিতে ব্যয় করা হবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি’র এই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান তারানা হালিম।
আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে ৭২৫ কোটি টাকা অলস পড়ে রয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। নীতিমালা অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করার কথা।
বৈঠক শেষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মামুদ বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ৬৮৩ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা এসেছে ইন্টারেস্ট (সুদ) থেকে।
মোবাইল অপারেটর ছাড়াও কারা কারা অর্থায়ন করতে পারবে এবং ব্যয় সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫ আপডেট সময়: ১৬২০ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি