ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান

স্পেশাল করেসটপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক বন্ধের ঘোষণার পর এবার দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানালেন বুদ্ধীজীবী, মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর)  সন্ধায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।



বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যয অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী।

মূল আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিতুল আলম, শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. সাদেকুল   আরেফীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতা অধ্যাপক এবিএম ফারুক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান ট্রেনিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তফা সারোয়ার এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান।  

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, পাকিস্তান তাদের ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। তারা  মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতরা যে তাদের লোক তা প্রমাণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে সরকারকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ড. আনোয়ার বলেন, পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী ১৯৫ জনের মধ্যে এখনও যারা বেঁচে আছেন, তাদের পাকিস্তান থেকে এনে বিচার করতে হবে। দেশে মরণোত্তর পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা থাকবে না কেনো? জিয়াউর রহমানের বিচার হয়নি। আইন সংশোধন করে অপরাধীদের মরণোত্তর  বিচার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত  করতে হবে। জিয়াউর রহমান গোপন  বিচার  করে কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে তার সম্পত্তি  বাজেয়াপ্ত করে আমাদের  বঞ্চিত করেছেন। সাকা চৌধুরীসহ সব দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি  বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

প্রধান অতিথি একে আজাদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করে দেশে আজ পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পাওয়া বাংলাদেশ আজ চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তার সমকক্ষতা অর্জন করছে বলে বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদরা অভিমত দিয়েছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আমাদের আদর্শের যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ মেনে নিয়ে দলের জন্য নয়, আদর্শের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।

ডা. নুজহাত বলেন, তরুণ প্রজন্মকে প্রগতিশীল করে গড়ে তুলতে তাদের আদর্শের পথ দেখাতে হবে। সিলেবাসে ১০০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা বই পড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের আদর্শ শেখাতে হবে। আমার মনে হয়, মানুষ আদর্শের চর্চায় পিছিয়ে পড়েছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, পাকিস্তান একটি বর্বর রাষ্ট্র। দক্ষিণ  এশিয়ার আঞ্চলিক  সহযোগিতা সংস্থা সার্ক থেকে পাকিস্তানকে বহিষ্কার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫,  ২০১৫
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।