ঢাকা: সব ধরনের কাঁচা পাট রফতানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও চার প্রকার পাট এই নির্দেশের বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিং, মেশিন কাট ১০-১২০ মিলিমিটারের জুট, জুট সিলভার ও জুট টো- ওই রফতানি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হবে না।
গত ২ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’র সঠিক বাস্তবায়নে পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ মোতাবেক পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাঁচাপাট রফতানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক থেকেও সব প্রকার কাঁচাপাট রফতানি বন্ধ করার আদেশ শিথিল করারও পরামর্শ আসে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে সরকার।
পাট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, জার্মানির অনুরোধে পাট রফতানির শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, ইতোমধ্যে আইনের ৮০ শতাংশ সফল হয়েছে। ঢাকার কোথাও নতুন করে প্লাস্টিকের বস্তায় ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহন হচ্ছে না।
ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হবে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’র ধারা ১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে সরকার।
** কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এমআইএইচ/আইএ