কিশোরগঞ্জ: ২০১৫ সালের শুরু থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন, নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ ও বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের সংশ্লিষ্ট থানা ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ৩ জানুয়ারি বিকেলে কুলিয়ারচর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও পিক-আপ ভ্যানের সংঘর্ষে পিক-আপ ভ্যানের চালক বশির আহম্মেদের (৩৭) মৃত্যু হয়।
৯ জানুয়ারি বিকেলে ভৈরব পৌর শহরের বাজারে প্রবেশের সময় অটোরিকশা চাপায় মাহি (৪) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।
১৯ জানুয়ারি দুপুরে করিমগঞ্জ উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নাঈম (৯) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়।
২৬ জানুয়ারি বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চরপাড়ায় ট্রাকের চাপায় শারমিন (৮) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়।
৩১ জানুয়ারি সকালে হোসেনপুরে মোটরসাইকেল চাপায় আক্কাছ আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে হোসেনপুর উপজেলার চরিয়াকোণা এলাকায় অটোরিকশা উল্টে রুবেল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
১১ মার্চ সকালে ভৈরব উপজেলায় টমটম চাপায় তুহিন (৭) নামে একটি শিশু নিহত হয়।
২৮ মার্চ সকালে কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কে হোসেনপুর উপজেলার রামপুর বাজারে ইজিবাইকের চাপায় মৌমিতা আক্তার (৭) নামে একটি শিশু নিহত হয়।
৩০ মার্চ করিমগঞ্জে পিক- আপ ভ্যানের চাপায় আরিফ (১৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
১৭ এপ্রিল রাতে করিমগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকের চাপায় সোহাগ মিয়া (২৩) নামে এক যুবক নিহত হন।
৪ মে সকালে ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের থানেশ্বর গ্রামে ধান বোঝাই পাওয়ার টিলারের (ট্রলি) চাপায় রাজা মিয়া (৯) নামে একটি শিশু নিহত হয়।
১৩ মে সকালে হোসেনপুর উপজেলার গোলচত্বর মোড়ে বালুবাহী দু’টি ট্রাক্টরের (পাওয়ার টিলার) মুখোমুখি সংঘর্ষে জাকির হোসেন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়।
১৪ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী-মানিকখালী সড়কের বাহেরপাথর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সোহেল মিয়া (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়।
৪ মে সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলার পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর সড়কের জাঙ্গালিয়া বাজারে বাসচাপায় শরিফুল ইসলাম (১৮) নামে এক ছাত্র নিহত হয়।
১৫ মে সকালে করিমগঞ্জ উপজেলায় মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাপায় আবু সাঈদ (৫) নামে একটি শিশু নিহত হয়।
২৮ মে বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মঞ্জিল মিয়া (৪২) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন।
২২ জুন দুপুরে কটিয়াদী উপজেলায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রাক্টরের চাপায় আয়নাল হক (৭) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়।
২৩ জুন সকালে কটিয়াদী উপজেলায় বাসচাপায় জীবন (৮) নামে একটি শিশু নিহত হয়।
৩ জুলাই বিকেলে কটিয়াদীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে আদম আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
২২ জুন ভোর ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কের নতুন জেলাখানা মোড়ে একটি দুর্ঘটনা কবলিত একটি ট্রাকের পাশ থেকে রুবেল (২৪) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৭ জুলাই বিকেলে কটিয়াদী উপজেলায় ট্রাকচাপায় তিন যুবক নিহত হয়।
২৫ জুলাই বিকেলে কামালিয়ারচর এলাকায় বাসের চাপায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়।
২৭ জুন বিকেলে পাকুন্দিয়া উপজেলায় বাসের চাপায় আবু নাঈম (৯) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।
৪ আগস্ট রাত সোয়া ১১টার দিকে কটিয়াদীতে বাসচাপায় আপেল মিয়া (১৯) নামে এক যুবক নিহত হয়।
২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে পুলেরঘাট এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় আজিজুল হক (২৫) নামে এক যুবক নিহত হন।
১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কটিয়াদী উপজেলায় ট্রাকের চাপায় ইজমা আক্তার (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়।
৫ নভেম্বর দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার মিরারচর এলাকায় বাসের চাপায় বিল্লাল হোসেন (৩০) নামে অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন।
৫ নভেম্বর দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদবাদ ইউনিয়নে বালুবাহী ট্রাক্টর চাপায় মোজাম্মেল হক (৪) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।
৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজিতপুর উপজেলার বুটঘর এলাকায় ইজিবাইকের চাপায় মোস্তফা মীম (৭) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা দূর করতে হলে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়ক আরও প্রশস্ত করতে হবে এবং মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।
এদিকে বিদায়ী বছর নৌকাডুবির ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ইটনা, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে বজ্রপাতে ১৭ জানুয়ারি দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলায় দুইজন, ১২ এপ্রিল সকালে ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাগ হাওরে দুইজন, ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইটনা উপজেলার বানেশ্বর গ্রামের হাওরে দুইজন, ১২ এপ্রিল সকালে নিকলী উপজেলার গোরাদিঘা ইউনিয়নের হাওর এলাকায় একজন, ২২ মে সকালে ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের ধইলং গ্রামের হাওরে একজন, ৩০ মে বিকেলে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের বেড়িবন হাওরে এক স্কুলছাত্র, ২ জুন দুপুরে পাকুন্দিয়া পৌরসভার শ্রীরামদী গ্রামে একজন, ১৪ জুন দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পশ্চিম চারিপাড়া গ্রামে একজন এবং ১৪ আগস্ট দুপুরে সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের যশোদল গ্রামে একজনসহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
আরএ/এএসআর