গাজীপুর: গাজীপুরের যোগীতলা এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানের ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে জয়দেবপুর থানায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) মো. সেলিম বাদি হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদে র্যাব জানতে পারে, গাজীপুরের যোগীতলা দক্ষিনপাড়া এলাকায় একটি মসজিদ সংলগ্ন পরিত্যক্ত টিনসেড বাড়িতে জঙ্গিরা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্প করছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে র্যাব সদস্যরা ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় র্যাবকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। তখন আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একটা পর্যায়ে আসামিরা যে ঘরে অবস্থান করছে, সেখানে বোমা বিস্ফোরনের শব্দ শোনা যায়।
এজহারে আরও বলা হয়, র্যাব সদস্যরা ওই ঘরে প্রবেশ করে দুই জঙ্গির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ দু’টোর আশপাশ থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ, ২৯টি ডেটিনেটর, বোম তৈরির বিস্ফোরকসহ সরঞ্জমাদি ও ৪টি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, ওই ঘটনায় গত সোমবার রাতে র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম খান বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুইটি মামলা দয়ের করেছেন।
তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় নিহত দুই জঙ্গির মরদহ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের মরদেহ নিতে কেউ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
আরএইচ