ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কড়া হতে আহবান জানালেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার সিগমা হুদা। তিনি বলেন, আইএস বা অন্য কারা খুন-খারাপি বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় রাজধানীর কলেজ রোডের বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার (বিএমবিএস) নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি এ আহবান জানান।
তিনি ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতির তুলনামূলক একটি চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চলতি বছর আগের তুলনায় অপরাধ কম হয়েছে। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে সহিংসতা ২৫টি কমেছে।
গৃহকর্মীদের ওপর নিয়োগ কর্তা-কর্ত্রীদের নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন সিগমা হুদা। এতে করে গৃহকর্তারা গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনে ভয় পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
তবে সিগমা হুদা পার্বত্য অঞ্চলে হত্যা ও অসহিষ্ণুতা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ ঘটনা বেড়েছে।
সিগমা হুদা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের এক বছর পূর্তিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যায়িত করে আন্দোলনের নামে তিন মাস পথে-ঘাটে যানবাহনে জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রোল বোমা হামলা করে। এতে ১৬৩ নিহত এবং এক হাজার ৭৩৭ জন জখম হয়েছেন। যানবাহন ভাংচুর হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি।
তিনি বলেন, এ বছর র্যাব-পুলিশ এবং যৌথ বাহিনীর ক্রসফায়ারে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। এ বছর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১৪০ জন। গত বছর হয়েছিলেন ১০৫ জন।
বাংলানিউজের এক প্রশ্নের তিনি বলেন, সংবাদপত্রের খবর ছাড়াও তাদের দফতরে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে। সারাদেশে তাদের ৩৫৮টি শাখা আছে। ঢাকা ছাড়াও ওইসব শাখা কেন্দ্রে শালিশ বসিয়ে বিরোধের মীমাংসা করা হয়ে থাকে।
সংস্থার মহাসচিব জাহানারা বেগম বলেন, শুধু আইন বা পুলিশ দিয়ে আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য চাই সামাজিক আন্দোলন। তিনি শিশু নির্যাতনসহ কয়েকজন ব্লগার হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এসএস/এএসআর