ঢাকা: বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০১৫ সালে সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের সংখ্যা কমেছে। কমেছে এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনাও।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৫ : আসক’র পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি পাঠ করেন আসক’র নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
২০১৫ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে দেশে ১২ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর আগের বছরে এ সংখ্যা ছিলো ৩২। আর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা বিগত বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৫ সালে ১৫ নারী এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। ২০১৪ সালে যে সংখ্যা ছিলো ৪৮।
তবে বছরের মাঝামাঝিতে শিশু নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছিলো। নির্যাতনে মাত্রা ও ধরনে ছিলো চরম নিষ্ঠুরতা। ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজন, ৩ আগস্ট খুলনায় শিশু রাকিব এবং ২ অক্টোবর গাইবান্ধায় সাংসদের হাতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
২০১৫ সালে প্রথম দেড় মাসে হরতাল অবরোধে সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১১ শিশু ও আহত হয় ১২ শিশু। আসক’র হিসাবে, ২০১৫ সালে হত্যা করা হয় ১৩৩ শিশুকে। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিলো ৯০।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা জানুয়ারি ১, ২০১৬
এসএ/ ইউএম/আরএম
** ‘২০১৫ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিলো উদ্বেগজনক’