ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

৫ জানুয়ারির জনসভা

মধ্যরাত থেকে বিএনপি’র মঞ্চ তৈরি শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৬
মধ্যরাত থেকে বিএনপি’র মঞ্চ তৈরি শুরু ছবি: রাজীব /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে ডাকা জনসভার প্রস্তুতি মধ্যরাত থেকে শুরু করেছে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে কোনো প্রকার প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়নি।



এদিন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে বিএনপি এবং ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করবে।

দুই দলই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অনুমতি আবেদন নাকচ করে দেয় ডিএমপি।

সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুটি রাজনৈতিক দল সভা আহ্বান করেছে, এতে করে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য বিএনপির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলো। আর আওয়ামী লীগকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হল।
সোমবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। ফকিরের পুল থেকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত মাইক লাগানোর কাজও চলছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে সোমবার কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, শর্ত সাপেক্ষে উভয় দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। উভয় রাজনৈতিক দলই তাদের নিজ নিজ দলীয় প্রধান কার্যালয়ের সামনে সীমিত পরিসরে সমাবেশ করতে পারবে। তবে কোনোভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো আয়োজন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশ করার জন্য যে বেষ্টনী তৈরি করা দেওয়া হবে, সেই বেষ্টনীর মধ্যেই তাদের সমাবেশ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে উভয় দলকেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে। দুপুর থেকে মাগরিবের আজানের আগেই শেষ করতে হবে। মাইক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে, দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে সমাবেশ করতে হবে, যানজট তৈরি করা যাবে না, সড়ক অবরোধ করা যাবে না, ব্যানার ফেস্টুনের আড়ালে লাঠিসোঁটা আনা যাবে না, মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না, পুলিশের দেওয়া চৌহদ্দির ভেতরে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শেষ করতে হবে।

অনুমতি পাওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জনসভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন।

তিনি বলেন, বেলা ২টায় অফিসের সামনে সড়কে জনসভার কার্যক্রম শুরু হবে। শেষ হবে মাগরিবের নামাজের আগে। জনসভার পরিসীমা হচ্ছে- নয়া পল্টন সড়কের কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ মোড় থেকে ফকিরেরপুল মোড় পর্যন্ত।

সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, জনসভায় আসতে আপনারা রাস্তায় কিংবা কোথাও কোনো প্রকার যানজট সৃষ্টি না করে বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে আসবেন। যে পরিসীমার কথা আমি বলেছি, সেখানে যানবাহন থেকে নেমে আপনারা জনসভাস্থলে আসবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
ইএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।