ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মাসেতুর চূড়ান্ত ব্যয় বেড়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৬
পদ্মাসেতুর চূড়ান্ত ব্যয় বেড়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা!

ঢাকা: চলমান স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্পে নানা অবকাঠামো বৃদ্ধি, নকশা পরিবর্তন, ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি, পরামর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে ব্যয় আরও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।



এর আগে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেতুর আওতায় নানা অঙ্গ যোগ হওয়া ও নির্মাণাধীন সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধির কারণেই মূলত দ্বিতীয় সংশোধনে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা হয়েছে বলে জানানো হয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

২০০৭ সালে প্রথমে পদ্মাসেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ২০১১ সালে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বৃদ্ধি করে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। এবার ২য় সংশোধনীতে ৮ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হলো।

মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় সংশোধিত আকারে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

পদ্মা বহুমুখী সেতু ছাড়াও মঙ্গলবারের একনেক সভায় মোট ১০ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন ও ৪টি সংশোধিত প্রকল্প।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়ন ৩০ হাজার ২৯২ কোটি ৫৪ লাখ, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ২২ কোটি ৩২ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

এদিকে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলসমূহের জন্যও প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে। এসব অঞ্চলে উন্নয়নে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এই প্রথম ১৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘ ৬৮ বছর পর ছিটমহলবাসীর ভাগ্যে মিলছে প্রকল্প। ‘বিলুপ্ত ছিটমহলসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো: ‘স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্প। এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৮২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এছাড়া ১২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয়।

পাশাপাশি ৫২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় ‘বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও জোরদারকরণ প্রকল্প, ৪৮ কোটি ২৭ লাখ টাকায় ‘জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি শক্তিশালী করণ’ প্রকল্প, ২৮২ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ‘বাগেরহাট জেলার পোল্ডার নং-৩৬/১ এর পুনবার্সন প্রকল্প এবং ‘নিউ হরিপুর পাওয়ার প্লান্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের’ অনুমোদন দেয়া হয় মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকায় ‘বিটাকের কার্যক্রম শক্তিশালী করার লক্ষে টেস্টিং সুবিধাসহ টুল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ভান্ডার জুরি পানি সরবরাহ প্রকল্পে’রও অনুমোদন দিয়েছে একনেক সভা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
এমআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।