ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আখাউড়ায় 'যোদ্ধার স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ' প্রতিযোগিতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
আখাউড়ায় 'যোদ্ধার স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ' প্রতিযোগিতা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় 'যোদ্ধার স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ' প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চুর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আখাউড়া পৌরসভা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সিরাজুল হক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা।

পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।

সাংবাদিক সমীর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈন উদ্দিন ইকবাল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, মো. মনির হোসেন বাবুল, মো. সেলিম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. আবু সাইয়িদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শাখাওয়াত হোসেন পাখি, আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. কবির মিয়া, সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু, পৌরসভার সচিব মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষার্থী ফাহিমুল ইসলাম, ফারিহা মেহজাবীন।

অনুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আগত শিল্পী শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য, স্মিতা ভট্টাচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির হোসেন ও রোকেয়া দস্তগীর আবৃত্তি করে শোনান ও আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, 'আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশে এই প্রথম। সারাদেশে এ ধরনের আয়োজন ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারবে। এতে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে'।

অনুষ্ঠান চলাকালে আবৃত্তি শিল্পী মনির হোসেনের আহবানে প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধাদের দাঁড়িয়ে সালাম জানান।

আয়োজক কমিটি সূত্র জানায়, 'যোদ্ধার স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ' প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনেন এবং তা ফিচার, শ্রুতি লিখন ও সাক্ষাতকার হিসেবে লিখে জমা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।