ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শৈশবের খোঁজে কিশোর-তরুণদের ভিড় ইজতেমার মাঠে

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
শৈশবের খোঁজে কিশোর-তরুণদের ভিড় ইজতেমার মাঠে ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইজতেমা মাঠ থেকে ফিরে: ১৭৮৬ সালে গোড়াপত্তন হওয়া টঙ্গী শহরের রূপ পরিবর্তন হয়েছে প্রতি মুহূর্তে। তুরাগ নদীর পাড়ের ছোট বাজার টঙ্গী আজ পরিণত হয়েছে শিল্প নগরীতে।

কিন্তু সেই পরিবর্তনের ধারায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে বেশিরভাগে মাঠ। শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলাধুলার জন্য তেমন কোনো মাঠই আর অবশিষ্ট নেই।

টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকের মিয়া। ২০ বছর আগে বসবাস শুরু করেন টঙ্গীতে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সকালে এলাকার মাঠে খেলতাম। কখনো কখনো বন্ধুদের সাথে পাশের এলাকার মাঠেও খেলতাম। বিকেল হলেই মাঠে যেতাম। আব্বাকে দেখতাম সন্ধ্যায় মাঠে খোলা হাওয়ায় বসে থাকতেন। কিন্তু এখন তো মাঠ পাওয়াই কঠিন। ছেলেকে নিয়ে শুক্রবার সকালে এই ইজতেমা মাঠে আসি। এটা ছাড়া আশেপাশের কোনো এলাকায় আর কোনো মাঠ পাওয়া যাবে না। ফলে আশেপাশের সব এলাকার ছেলেরা এখানে খেলতে আসে। তাই ভিড় বেশি হয়।

পাড়ায় পাড়ায় আগে যেখানে মাঠ ছিলো এখন সেখানে গড়ে উঠেছে বাজার, শপিং মল বা বাসা বাড়ি। আর তাই দূরের এলাকা থেকেও তরুণদের খেলার জন্য আসতে হয় ইজতেমা মাঠে। জানালেন আজমপুর এলাকার রুমন আলম।

 

রুমন আলম এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকেই আজমপুরে বড় হয়েছি। আমাদের এলাকায় ছোট একটা মাঠ ছিলো। এখন তা দখল হয়ে গেছে। আশেপাশে তেমন কোনো জায়গা নেই। কি করব, তাই সবাই এখানে খেলতে আসি।

তুরাগ নদীর পাড়ে গড়া উঠা এই শিল্প এলাকায় ১০ বছরের আগেও যেসব মাঠ ছিলো তার সব কয়েকটি দখল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই বললেই চলে । যার কারণে বেশিরভাগ বাচ্চাই কম্পিউটার নির্ভর হয়ে পড়ছে। শরীর চর্চার সুযোগ মাঠে নেই বললেই চলে।

মাঠ সঙ্কটের কারণে আশপাশের এলাকার কিশোর তরুণদের একমাত্র ভরসা এখন ইজতেমার বিশাল খোলা ময়দান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
ইউএম/আরআই

**
ক্রিকেট-ফুটবল মিলেমিশে একাকার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।