ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে পৃথক বাথরুম না থাকায়...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে পৃথক বাথরুম না থাকায়... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও  ইমিগ্রেশন ভবনে পৃথক বাথরুম না থাকায় নারী-পুরুষ উভয়কে ব্যবহার করতে হচ্ছে একই বাথরুম। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি এবং যৌন হয়রানিসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন নারীরা।

এ বিষয়ে ভ্রমণরত যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, ইমিগ্রেশন ভবন তৈরির পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনো নজরদারি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য প্রায় দুই হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। এসব যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য কোনো সু-ব্যবস্থা করা হয়নি এ ভবনে। এ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেই পাসপোর্টের কাজ সারতে হচ্ছে তাদের।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট বেনাপোল চেকপোস্টে একটি অত্যাধুনিক মানের আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এটি ব্যবহার করছে না। এতে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন।  

কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ভবনের বহির্গমন শাখায় যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি মাত্র বাথরুম। ওই বাথরুমেই নারী-পুরুষ উভয়েই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে একের পর এক প্রবেশ করছেন। বাথরুমের সামনে পৃথকভাবে নারী-পুরুষের ছবি লাগিয়ে বাথরুম ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ আরেকটি বোর্ডে একসঙ্গে নারী-পুরুষের ছবি লাগিয়ে একই বাথরুম ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই তাদের। ভবনের মধ্যে কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক বাথরুমের সু-ব্যবস্থা থাকায় এ বিষয়ে তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

ভারত ভ্রমণের জন্য নাটোর থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী রোজি বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে এমন অব্যবস্থাপনার কারণে বহিঃবিশ্বের কাছে আমাদের অবস্থান ছোট হচ্ছে। এই চেকপোস্ট দিয়ে দেশি-বিদেশি যাত্রীরা যাতায়াত করছে। কোনো দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এমন অব্যবস্থাপনা দেখা যায় না।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার (রাজস্ব কর্মকর্তা) শাহাজান সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বাংলানিউজকে, ‘কই কারো তো অসুবিধা হয় না। তারপর আপনি যখন অভিযোগ করেছেন আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো। ’  

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এমন অব্যবস্থাপনা খারাপ দেখায়। কিন্তু কি করবো? ভবন তৈরির সময় সঠিকভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হলে এ সমস্যা হতো না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৯ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন এ পথে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার দেশি-বিদেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
এনটি/আরএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।