ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পূর্বধলায় স্কুল পালানো ৫ কিশোর ঢাকায় উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
পূর্বধলায় স্কুল পালানো ৫ কিশোর ঢাকায় উদ্ধার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়া পাঁচ কিশোরকে রাজধানীর কাকরাইল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পালিয়ে যাওয়ার একমাস একদিন পর বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে কাকরাইলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

পরে তাদের নেত্রকোনায় নিয়ে এসে দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের করে বিষয়টি জানানো হয়।

পাঁচ কিশোর হলো-উপজেলার গোয়ালাকান্দা ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্র মো. বেলাল হোসেন, একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নয়ন মিয়া, আব্দুল হামিদের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রফিকুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে সপ্তম শ্রেণির মো. আরিফুল ইসলাম ও আইনুদ্দিনের ছেলে হৃদয় মিয়া।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খান মোহাম্মদ আবু নাসের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, উদ্ধার হওয়া কিশোররা একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা পরষ্পরের বন্ধু।

সংবাদ সম্মেলনে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব বাংলানিউজকে জানান, ১ অক্টোবর সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই পাঁচ কিশোর ঢাকা চলে যায়। সেখানে ঘোরাঘুরি করার পর তাদের কাছে থাকা টাকা শেষ হয়ে যায়।

এর পর বাড়ি ফিরে আসার টাকা জোগাড় করতে তারা একটি আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন ৮০ টাকা পারিশ্রমিকে বয়’র কাজ নেয়। সেসময় তারা বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল তারা ঢাকা আছে একমাসের আগে ফিরতে পারবে না।

কিন্তু এ ঘটনার পর থেকে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে উপায়ান্তর না দেখে ৬ অক্টোবর ওই কিশোরদের অভিভাবকরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এদিকে, কাজে যোগদানের পর হোটেল কর্তৃপক্ষ কিশোরদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এর পর তারা আর বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেনি।  

তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ কেন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগযোগ করতে দেয়নি সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

ওসি আরো জানান, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং-এর মাধ্যমে ওই কিশোরদের উদ্ধ‍ার করা হয়।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) মামুন খান চিশতী, পূর্বথধলা থানার ওসি (তদন্ত) এ.কে.এম মিজানুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।