ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ুতে এসি-ফ্রিজের ক্ষতিকর প্রভাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
জলবায়ুতে এসি-ফ্রিজের ক্ষতিকর প্রভাব

ঢাকা: বাংলাদেশে এয়ারকন্ডিশন (এসি) ও রেফ্রিজারেটরে (ফ্রিজ) স্বল্পায়ু জলবায়ু দূষণকারী গ্যাস হাইড্রোফ্লোরা কার্বন (এইচএফসি) ব্যবহার হয়ে থাকে। যা ব্যবহারে বছরে প্রায় ১শ’ মেট্রিকটন হারে এই গ্যাস বাড়ছে।

 

এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সেন্টাল ফর ন্যাশনাল স্টাডিজ।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মলনে বিসিএসের করা এক গবেষণার তথ্য প্রকাশের পর মানুষের স্বাস্থ্য ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এইচএফসি গ্যাসের ভূমিকা ও এ সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলায় করণীয় এবং এ সম্পর্কিত জাতিসংঘের কিগালি এইচএফসি জলবায়ু সম্মলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী বিসিএসের জ্যেষ্ঠ ফেলো ড. মইনুল ইসলাম শরিফ বলেন, কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে এইচএফসি ১০ হাজার ৮শ গুণ পর্যন্ত বেশি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। বর্তমানে এই গ্যাস ব্যবহার বছরে ১০-১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এটা বেশিরভাগ স্থানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল গ্রিনহাউস গ্যাসে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরে এই গ্যাস ব্যবহার হয়। এর ব্যবহার বছরে ১শ’ মেট্রিক টন হারে বাড়ছে। তাই যেসব যন্ত্রে এইচএফসি’র বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক শীতলক (রেফ্রিজারেন্ট) ও সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে খরচ কমার পাশাপাশি জ্বালানি সক্ষমতা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় জাতিসংঘের কিগালি এইচএফসি জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিসিএসের ফেলো গোলাম রাব্বানী বলেন, সব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ এইচএফসি কমানোর ব্যাপারে সম্মেলনে একমত হয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনার পর পরিবেশ অধিদপ্তর মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমি সংবাদ সম্মেলনের ওপর তার মতামত দেন।

বাংলাদেশ: ১৭৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
জেডএফ/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।