ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় হজ কো-অর্ডিনেটর আহত

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
খুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় হজ কো-অর্ডিনেটর আহত ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনায় আলহাজ্ব শেখ নাজিমুদ্দিন আহম্মদ (৬০) নামে একজন হজ্ কো-অর্ডিনেটরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হরিণটানা থানাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলাম নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার দুই পায়ে গুরুতর জখম করে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত নাজিমুদ্দিন আহম্মদ আবাবিল হজ গ্রুপের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ নাজিমুদ্দিন আহম্মদ অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ একই এলাকার মৃত আব্দুল মালেক সরদারের দুই ছেলে সন্ত্রাসী রাসেল হোসেন বাবু এবং আব্দুর রহিম চাপাতি দিয়ে তাকে উপর্যপুরি কুপিয়েছে।

ঘটনার সময় তাদের মা নূর জাহানও দূরে দাঁড়িয়ে থেকে তার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও ঘটনার সময় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩/৪জন ছিলেন।
 
তিনি জানান, তিনি পাশের মসজিদ থেকে আছরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছে আসতেই আব্দুর রহিম তাকে ডেকে কথা বলার একপর্যায়ে শরীরে আঘাত করে। এ সময় তিনি পড়ে গেলে পাশে ভ্যানের মধ্যে রাখা চাপাতি বের করে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তার ভাই বাবু এসেও কোপায়। এতে তার দুই পায়ের অনেকাংশ জুড়ে জখম হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, চাপাতির আঘাতে তার দুই পা মারাত্মক জখম হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।

হরিণটানা থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরির্দশক (এসআই) দেবাশীষ দাস বাংলানিউজকে বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হজ কো-অর্ডিনেটর আলহাজ্ব শেখ নাজিমুদ্দিন আহম্মদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রাসেল হোসেন ওরফে বাবু গত ১৯ আগস্ট একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হন। ‍ওই  সন্ত্রাসীরা নাজিমুদ্দিনের কাছে ২ লাখ টাকা এবং তার ভায়রা মৃত আরিফুজ্জামানের স্ত্রী কোহিনুর খাতুনের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় গত বছরের ২৪ অক্টোবর তারা কোহিনুর খাতুনের বাড়ির দেয়াল ভাঙচুর এবং গাছপালা কেটে ফেলেন। ওই ঘটনায় কোহিনুর খাতুন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী রাসেল হোসেন বাবু এবং তার সহযোগী শুকুর আলী, মাসুম হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও মুক্তাকে আসামি করে হরিণটানা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গত ১৯ আগস্ট ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বাবুকে গ্রেফতার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এমআরএম/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।