ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গিদের পুনর্বাসনে কাজ করছে সিটিটিসি ইউনিট

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
জঙ্গিদের পুনর্বাসনে কাজ করছে সিটিটিসি ইউনিট

ঢাকা: বিপথে যাওয়া জঙ্গি সদস্যদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে জনমানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

‘প্রভাবিত হয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়া জঙ্গি সদস্যরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অনেকেই সঠিক পথে ফিরে আসতে চাইছে’ -এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের এই সিটিটিসি ইউনিটের কর্মকর্তারা।

তবে কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু পুলিশের একার পক্ষে জঙ্গি দমন করা সম্ভব নয়, এর জন্য জনমানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে, ধর্মীয় অনুভূতির জায়গা থেকে, পারিবারিক পর্যায়ে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।  

কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে যদি বাবা-মা তার বিপথে যাওয়া সন্তানকে সিটিটিসি’র কাছে তুলে দেয়, তবে কাউন্সিলিংযের মাধ্যমে ওই সব জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতেও সহযোগিতা করা হবে।  

এক্ষেত্রে তাদের নাম, ঠিকানাসহ পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।  

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের পাশাপাশি দেশের মানুষকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। জঙ্গিবাদ যে ভুল পথ এটা তাদের অনেকেই বুঝতে শুরু করেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও চাইছে।

জঙ্গি সদস্যদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন কাউন্সিলিং দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিটিটিসি ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, অনেকের পরিবার তার সন্তানকে জঙ্গিবাদ থেকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নব্য জেএমবি ও আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যাইয়ের নেতারা উগ্রপন্থি কথা বলে সংগঠনের কর্মী সংগ্রহ করে আসছিলো। জঙ্গি নেতারা সংগঠনের নতুন সদস্যদের জিহাদের কথা বলে বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতো। আর এসব অপব্যাখ্যার কারণে সদস্যরা বিপথে চলে যায় এবং বিভিন্ন জঙ্গিবাদ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাদের ধারণা ছিলো যে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কোনো দিন ধরতে পারবে না।

তবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা তাদের সব ভুল ব্যাখ্যার সঠিক সমাধান দিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। তাদের মানসিকতার উন্নয়ন ও বিকাশ, ধর্ম, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ সৃষ্টির বিষয়ে কাউন্সিলিং দিচ্ছে।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাদের পুনর্বাসন করতে বিভিন্ন কাউন্সিলিংয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীসহ এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অভিযানে জঙ্গিদের অনেক সদস্য নিহত হয়েছে, কেউ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, আর এসব সংগঠনের কেউ কেউ নিজেদের গ্রেফতার এড়াতে রয়েছেন আত্মগোপনে। এছাড়াও জঙ্গি সংগঠনগুলোর বেশ কিছু সদস্য আত্মসমর্পণও করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০, ২০১৬
এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।