ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ধরা পড়ছে রূপালি ইলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
মেঘনায় ধরা পড়ছে রূপালি ইলিশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চাঁদপুর: ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে রূপালি ইলিশ। আর এতে করে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলে পাড়া।

বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার, পৌর এলাকার পুরান বাজার, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের দোকানঘর, বহরিয়া বাজার ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

আনন্দবাজার এলাকার জেলে ইমান আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানের আগে তারা প্রচুর সংখ্যক ইলিশ পেয়েছেন। এ কারণে তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়নি। সরকারের এ ধরনের অভিযানকে জেলেরা সাধুবাদ জানাচ্ছেন। আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে জাটকা রক্ষা অভিযান সফল হলে রূপালি ইলিশের সুদিন আবার ফিরে আসবে। অপর জেলে হাসান আলী বাংলানিউজকে বলেন, আনন্দ বাজার এলাকায় তালিকাভুক্ত ২শ’র অধিক জেলে রয়েছে। তারা বুধবার (০২ নভেম্বর) দিনগত রাত থেকেই ইলিশ শিকারে মেঘনায় নেমেছেন। যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে সাইজ হচ্ছে ২শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত। তবে ছোট সাইজের ইলিশই বেশি ধরা পড়ছে। ১ কেজি সাইজের ইলিশের দাম ১ হাজার থেকে ১১শ’। ১ কেজির কম ওজনের ইলিশ তাদের আড়তে হালি হিসেবে বিক্রি হয়।

হরিণা ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী আহসান সৈয়াল বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানের আগে মেঘনা নদীতে যে সংখ্যক ইলিশ পাওয়া গেছে, এখন একটু কম। দক্ষিণাঞ্চলে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় ইলিশ এখন পদ্মা ও মেঘনা নদী দিয়ে শাখা নদীগুলোতে প্রবেশ করেছে। প্রজনন মৌসুম হিসেবে মা ইলিশগুলো এ বছর নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম এলাকা হিসেবে সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
আরবি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।