ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিশেষ আকর্ষণ’ থাকছে মাগুরার কাত্যায়নী পূজাৎসবে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
‘বিশেষ আকর্ষণ’ থাকছে মাগুরার কাত্যায়নী পূজাৎসবে  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা: মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শুরু হচ্ছে রোববার (৬ নভেম্বর) থেকে। চলবে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত।

পূজার পরে মেলা চলবে একমাস। এ বছর পূজার আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে চলছে নানা থিমের প্রতিমা তৈরি, নতুন-নতুন জিজাইনের গেট-প্যান্ডেল, ডিসপ্লে ও লাইটিং স্থাপনের কাজ। শেষ সময়ে এসে প্রতিটি মণ্ডপে দিন-রাত চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।

মাগুরা দরিমাগুরা ছানা বাবুর বটতলা পূজা কমিটি সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, দেশ-বিদেশের লাখ-লাখ দর্শনার্থীর আগমনের কথা মাথায় রেখে এবছর তারা একদম নতুন আঙ্গিকে প্রতিমা তৈরি করেছেন। আলোকসজ্জার ও ডিসপ্লের পাশাপাশি রামায়নে বর্ণিত কাহিনী অনুসারে তৈরি হচ্ছে গেট, প্যান্ডেল।  

গেট প্যান্ডেলে ফুটে উঠেছে রামভক্ত পবনপুত্র হনুমান লক্ষণকে বাঁচাতে গন্ধমাদম পাহাড় হাতে করে নেমে আসছেন।  

দরিমাগুরা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী উজ্জল গুরু বাংলানিউজকে জানান, তিনি নতুন থিমের প্রতিমা তৈরি করছেন। মা কাত্যায়নী অশুভ শক্তি অসুর নিধন করে স্বর্গ থেকে বটবৃক্ষের মাঝ থেকে তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মর্ত্যলোকে আসছেন।  

একইভাবে নিজনান্দুয়ালী নিতাইগৌর গোপাল আশ্রম, জামরুল তলা, নতুন বাজার সাহাপাড়া,পারনান্দুয়ালী, সাতদোহাপাড়া, বাটিকাডাঙ্গা পূজা কমিটির নেতারা বাংলানিউজকে জানান, তারা এ বছর পূজার আয়োজন ভিন্নতা এনেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা এবছর মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা দেখে মুগ্ধ হবেন।

সমন্বিত কাত্যায়নী পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুণ্ডু বাংলানিউজকে জানান, জেলার ঐতিহ্যবাহী এ পূজার আনুষ্ঠানিকতায় শুধু হিন্দু ধর্মের মানুষেরা অংশ নেন। কিন্তু এতে সহযোগিতা করেন ও গোটা উৎসবে অংশ নেন সব ধর্মের মানুষ। যে কারণে কাত্যায়নী উৎসব মাগুরা জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত।  

তিনি আরও জানান, এ বছর জেলায় ৮৪টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাগুরা শহরে ব্যাপক আয়োজনে হচ্ছে ১৪টি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য তারা প্রশাসনের সঙ্গে সভা করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক, আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।

মাগুরা পুলিশ সুপার এহসান ঊল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, কঠোরভাবে কাত্যায়নী পূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি। তাছাড়া গোটা শহর ও পূজা মণ্ডপ এলাকায় বাসানো হয়েছে সিসি  ক্যামেরা।  

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুণ্ডু বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৭০ বছর ধরে মাগুরায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
পিসি/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।