ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

ঢাকা: সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পণ্যবাহী যানবাহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।


সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সরকারের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।


বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব কাউছার আহমেদ পলাশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই ঘোষণা দেন।


তিনি বলেন, নৌমন্ত্রীর সমঝোতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলাম। পুলিশ মহাপরিদর্শক সাত দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।

 
বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সায়েদাবাদে ট্রাক স্ট্যান্ড পুনর্বহাল, প্রতি জেলায় ট্রাক স্ট্যান্ড স্থাপনসহ ৮ দফা দাবিতে ৬ নভেম্বর থেকে সারা দেশে এই ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
 

সভায় নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
 

নৌমন্ত্রী শাজাহ‍ান খান বলেন, ‘পুলিশি হয়রানির’ বিষয়টি আগামী সাত দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। বাম্পার এবং অ্যাঙ্গেল খোলার বিষয়ে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোলে গিয়ে ভারতের গাড়িগুলো দেখে মতামত দেবে। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে যারা অ্যাঙ্গেল ও বাম্পার খুলবে না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
ইংলিশ রোডে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সিঙ্গেল লেনে ট্রাক লোড-আনলোড করা যাবে। আর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বিষয়টি বাস্তবতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান, সদস্য সচিব কাউছার আহমেদ পলাশ এবং নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
 
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, মিনি ট্রাকের বাম্পার ও সাইড এঙ্গেল খোলার আদেশ প্রত্যাহার, জরিমানা মওকুফ করে গাড়ির কাগজপত্র নবায়নের সুযোগ, ঢাকার ইংলিশ রোডে মালামাল লোড-আনলোড করার অনুমতি, গাড়ির সামনের বাম্পার ও সাইড অ্যাঙ্গেল খোলার আদেশ প্রত্যাহার, দিনের বেলায় ঢাকা শহরে দেড় থেকে তিন হাজার কেজি পর্যন্ত মালামাল পরিবহনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি বাতিল না করা, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা, সব সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ, রেকার বাণিজ্য বন্ধ, সড়ক-মহাসড়কে চুরি-ডাকাতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একতরফা ট্রাক চালকদের দোষারোপ না করা এবং নিয়োগপত্রের ব্যবস্থা করা।

‍**ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটীদের সঙ্গে বসেছে সরকার

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।