ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্যাতনের শিকার নারীদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বেড়েছে ৯ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
নির্যাতনের শিকার নারীদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বেড়েছে ৯ শতাংশ

ঢাকা: পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে বর্তমানে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থা‍ৎ ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।

শনিবার (০৫ নভেম্বর) রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক গোলটেবিলে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানানো হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও দ্য ডেইলি স্টার যৌথভাবে ‘ন্যায় বিচারের সুযোগ ও টেকসই আইন সহায়তা’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

আলোচনায় বলা হয়, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের মতো বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে ব্র্যাকের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু তালাক ও দেনমোহরজনিত দ্বন্দ্বই মীমাংসা হচ্ছে না, বরং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততাও বেড়েছে।

বিশেষত পারিবারিক নির‌্যাতনের শিকার নারীদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে সচেতনতার মাধ্যমে নিজের গুরুত্ব উপলব্ধি ও উন্নত জীবনযাপন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। একইসঙ্গে সুবিধা বঞ্চিত নারীরা প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের সমন্বয়কারী অ্যান্ড্রু জেনকিন্স।

‘মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির মূল্যায়ন, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট রুমানা আলী।

এছাড়া ন্যায়বিচারের সুযোগ ও বিশ্লেষণে সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সৈয়দা সিতওয়াত শাহেদ।

কেএএম মোর্শেদের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা জজ) মালিক আব্দুল্লাহ আল আমিন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সিনিয়র সহকারী জজ মাসুদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল বায়েস।

আলোচনায় মালিক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ ৯০ হাজার গরীব দুঃখীদের বিনা টাকায় আইনি সহায়তা দিয়েছে সরকার। জেলা পর‌্যায়ে যাদের আয় এক থেকে দেড়লাখ টাকার নিচে তাদের সুপ্রিম কোর্টে আইনি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর তিন পার্বত্য জেলায় সব আদিবাসীকে বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা দিচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
ইএস/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।