ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় নাডা মোকাবেলায় ৮ কন্ট্রোল রুম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় নাডা মোকাবেলায় ৮ কন্ট্রোল রুম

ভোলা: ভোলায় ঘূর্ণিঝড় নাডা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা জুড়ে সকতর্কতা সংকেত জারি করার পাশাপাশি খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা সদরে একটি ও সাত উপজেলায় সাতটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়।
 
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ জরুরি সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদুর রহমানসহ রেডক্রিসেন্ট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কর্মকর্তারা এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া জেলার মৎস্য ঘাটগুলোতে ছোট ছোট নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
 
এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে জেলা সিপিপি কর্মীরা জেলা সদর ও উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ও চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জানিয়ে মাইকিং করে করছেন।

ভোলা সিসিপির পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এখন চার নম্বর সংকেত চলায় হুঁশিয়ার করা হচ্ছে জনগণকে। টানানো হয়েছে দু’টি পতাকা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবককে।
 
তিনি আরও জানান, সাধারণত সিপিপির এক, দুই ও তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত, চার নম্বরে হুঁশিয়ারি সংকেত, পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে বিপদ সংকেত এবং আট, নয় ও ১০ নম্বরে মহাবিপদ সংকেতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় নাডার প্রভাবে সারাদিনের মতো রাতেও বৈরি আবহাওয়া অপরিবর্তিত রয়েছে। ভারী বর্ষণের সঙ্গে হাল্কা ও মাঝারি ধরনের ঝোড়ো বাতাস বইছে।
 
সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জেলায় ১১৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র অবজারভার আনোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
আরবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।