ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জনস্বাস্থ্য ভবনই অস্বাস্থ্যকর!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
জনস্বাস্থ্য ভবনই অস্বাস্থ্যকর!

বগুড়া: ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তার। ভেতর ও বাইরে জমে আছে শেওলার স্তূপ।

ছাদের ওপর জন্মেছে ছোট-ছোট অসংখ্য গুল্মলতা। ফাটল ধরেছে বিভিন্ন স্থানে। উঠে গেছে মেঝের কার্পেটিং।  

বৃষ্টি হলেই ফাটল হয়ে পানি চুয়ে চলে আসে ভেতরে। সেই পানিতে নষ্ট হয় মূল্যবান কাগজপত্র। ভেতরের পরিবেশটাও স্যাঁতস্যাঁতে। দরজা-জানালাসহ অন্যান্য আসবাবপত্রের অবস্থাও ভালো নয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ভবনে এমন চিত্রই লক্ষ্য করা যায়। জরাজীর্ণ এ ভবনে দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময়ে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। যেন জনস্বাস্থ্য ভবনই এখন অস্বাস্থ্যবান।

ফলে যে কোনো সময় ভবনটি মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে দুই মেয়াদে ভবনটি সংস্কার করা হয়। এরপর ভবনটিতে আর সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি।  

একজন কর্মকর্তা, একজন অফিস সহকারী, দুইজন মেকানিক ও দুইজন মিস্ত্রী এই অধিদফতরে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আবার সেবা প্রার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই এই অধিদফতরে সেবা নিতে আসেন। আবুল কালাম, মুনছুর আলী, জাবেদ ভূঁইয়াসহ সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, ভয় করে তো কোনো লাভ নেই। এই অফিসে যাওয়ার কথা মনে হলে প্রাণ কাঁপে। কিন্তু উপায় তো নেই। কাজের স্বার্থে সেখানে যেতে বাধ্য হতে হয়।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভবনের ঝুঁকির কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজও ভবনটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই সবাইকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অফিস করতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এমবিএইচ/টিআই
       

 
 
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।