ঢাকা: বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন রাজধানীর গুলশান-১ থেকে বারিধারায় নবনির্মিত নিজস্ব ভবন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) থেকে নতুন ভবনে অফিস করছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে বারিধারার হাই কমিশনের কমপ্লেক্সটিতে স্বাধীনতা দিবসসহ নানা অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে।
চলতি বছর নতুন ভবনে টোকেন ছাড়াই বিশেষ ব্যবস্থায় ঈদ ভিসা দেয়া হয়েছিল ০৪ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত। ওই ১২ দিনে পঞ্চাশ হাজার লোক ভিসার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। এজন্য অনেকের কাছে নতুন এ ভবনটি চেনা।
গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনের ঢাকা সফরে এসে ৭ জুন বারিধারায় হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওইদিন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে ভারত সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।
এ প্রকল্পগুলো হলো- টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হসপিটাল কমপ্লেক্স, দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা ও পুর্নবাসন ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষাতত্ত্বের হিন্দি বিভাগের ইন্সটিটিউশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের রেকর্ডিং স্টুডিও’র নির্মাণ ও ডেকোরেশন।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগ নির্মাণ ও ডেকোরেশন এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গার্লস হোস্টেল নির্মাণ। এ সময় তিনি সেখানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের জন্য দু’টি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন।
তবে গুলশান-১ এর পুরাতন ভবনে এখনো ভারত ভ্রমণকারীদের ভিসা আবেদনপত্র জমা নিচ্ছে স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া শাখা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এসএস/বিএস