ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাস্তার বারোটা বাজিয়ে শেষ হচ্ছে ফ্লাইওভারের কাজ

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
রাস্তার বারোটা বাজিয়ে শেষ হচ্ছে ফ্লাইওভারের কাজ

ঢাকা: ইন্টারনেট সার্ভিসের লাইন নিতে রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাকের মাঝামাঝি রাস্তায় মাসখানেক আগে খোঁড়াখুঁড়ি করেছিলো একটি কোম্পানি। এক পর্যায়ে তারা কেটে ফেলে ওয়াসার পানির লাইন।

সেই পানি উপচে রাস্তা ডুবে যায়। দু’সপ্তাহ পর এসে ওয়াসা সেটা মেরামত করে।

 

এবার ওয়াসা সড়ক নষ্ট করে ও মাটি খুঁড়ে রাস্তার ওপরে ফেলে রেখে চলে যায়। সেই মাটিতে বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে এখন রাস্তা কর্দমাক্ত, হাঁটা-চলাও দায়।

রোববার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌচাক মোড় পার হয়ে ফরচুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনের গর্তে আটকা পড়েছে সুপ্রভাত পরিবহনের বাস। পেছন থেকে প্রচেষ্টা পরিবহনের আরেকটি বাস সজোরে ধাক্কা দিলেও বাসটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এরপর সব যাত্রী নামিয়ে বাস খালি করে ফের ধাক্কা দিয়ে উদ্ধার করা হয়।

শান্তিনগর থেকে মালিবাগ মোড় এবং মৌচাক মোড় থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত একই অবস্থা।

ওপরে চলছে ফ্লাইওভারের গার্ডার তোলার কাজ। নিচে পড়ে আছে সেগুলোর ভাঙা অংশ। কংক্রিটের রড রাস্তা দখল করে আছে। সরু হয়ে পড়া রাস্তায় একসঙ্গে দু’টি গাড়ি চলতে পারছে না। আর পথচারীদের এদিকে আসা মানেই কাপড়-চোপড়ে কাদা মাখানো।

এ অবস্থায় কোনো রিকশাই অন্য কোনো গন্তব্য থেকে এ এলাকায় আসতে চায় না। এ নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই মালিবাগের আশেপাশের বাসিন্দাদের।
 
বর্ষা মৌসুম শেষে এখন তেমন বৃষ্টি-কাদা নেই। তারপরও রাস্তা ঠিক করে দেয়নি ফ্লাইওভার নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইওভার তৈরির পাশাপাশি রাস্তা চলাচলের উপযোগী এবং স্বাভাবিক রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো তাদের।
 
কিন্তু বাস্তবে মালিবাগ-মৌচাক এখনও রয়ে গেছে এক ধরনের পরিত্যক্ত সড়ক হিসেবে। গত দু’বছর ধরে এ দৃশ্যের কোনো পরিবর্তনও নেই। শুধু আশা, ফ্লাইওভার নির্মাণ শেষ হলেই মুক্তি মিলবে। কিন্তু সেটাও সুদূরপরাহত।

মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেকগুলো লাইন এ সড়কের নিচ দিয়ে গেছে। কে কখন এসে রাতারাতি খুঁড়ে চলে যায়, সেটি ধরা যায় না। তবে আমাদের কাজ রাস্তার মাঝ বরাবর চলছে’।
 
মৌচাক থেকে মালিবাগ যাওয়ার পথে রাস্তার মাঝামাঝি কংক্রিট রড ফেলে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। ট্রাফিক এলাও করেই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কোনো যন্ত্র মুভ করতে গেলেই যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে’।
 
সুশান্ত আরো জানান, কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে গেছে। এখন মালিবাগ মোড়ে যে পাইলিংয়ের কাজ চলছে, এটাই মাটিতে এই ফ্লাইওভারের শেষ কাজ। এরপর সব সুপারস্ট্রাকচারের কাজ চলবে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়ছেন তারা। তারপরও আগামী বছরের জুনে সব কাজ শেষে খুলে দেওয়া হবে ফ্লাইওভারটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।