ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিরঝিলে ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাট আগামী বছরের মধ্যেই

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৬
হাতিরঝিলে ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাট আগামী বছরের মধ্যেই

ঢাকা: হাতিরঝিল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ ফের শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো টেন্ডার বাতিল করে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হচ্ছে।
 
হাতিরঝিল প্রকল্প উদ্বোধনকালে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ফ্ল্যাট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে ঘোষণা অনুসারে হাতিরঝিল এলাকাতেই দু’টি ১৫তলা ভবন করা হচ্ছে। এর প্রতিটিতে ৫৬টি করে ফ্ল্যাট নির্মিত হবে।  

একটি ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি করা হবে। অন্যটি দেওয়া হবে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্তদের। ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাটের আয়তন ১ হাজার ৩০০ বর্গফুট ও সর্বসাধারণের কাছে বিক্রির জন্য ফ্ল্যাটের আয়তন ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট।
 
 
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিলে ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা সেনাবাহিনী দিয়েছে, তাতে ৪২ জনের নাম রয়েছে। এ তালিকা অনুসারে এখন পর্যন্ত কাজ চলছে। এরপরও যদি কেউ প্রকৃত কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাহলে তার কথাও বিবেচনায় নেবে রাজউক।  
 
সর্বসাধারণের কাছে যে ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করা হবে তার মূল্য নির্ধারণ করা আছে প্রতি বর্গফুট ৮ হাজার টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্ধারিত ফ্ল্যাটের মূল্য ৪ হাজার টাকা হারে।  
 
সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত কাগজপত্রে দেখা গেছে, দু’টি বহুতল ভবনের একটির ১৫তলার ছাদ ঢালাই ও অন্যটির ৮ম তলা পর্যন্ত ইটের গাঁথুনির কাজ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন ফ্লোরে লিনটেন, প্লাস্টার, গ্রিল ও চৌকাঠ ফিটিংয়ের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।  
 
বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকায় সমন্বিত উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৭২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।  
 
ফ্ল্যাট নির্মাণে মেসার্স সিদ্দিক অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে রাজউকের চুক্তি হয়েছিল। অবকাঠামো ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ বন্ধ রেখে সরে দাঁড়ায়। ফলে গত বছরের ০৮ নভেম্বর দরপত্র বাতিল করা হয়।  
 
একই সঙ্গে মাঝপথে নির্মাণ কাজ থেকে সরে দাঁড়ানোয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে রাজউক। শিগগিরই নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
 
হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. জামাল আক্তার ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘চুক্তি অনুসারে আমরা আশা করি, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারবো। তা না হলে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেই বিক্রি হবে’।
 
ফ্ল্যাট বিক্রির আগে নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলেও জানান তিনি। এককালীন কতো টাকা দিতে হবে, কতো কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে- এসব বিষয় নীতিমালায় থাকবে।  

হাতিরঝিলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুসারে ৪২ জনের নাম রাজউকে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
এসএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।