ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অগ্রণীর এমডি শামস-উলের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
অগ্রণীর এমডি শামস-উলের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

ঢাকা: অনিয়মের অভিযোগে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করা হয়েছে।
 
সম্প্রতি শাজাহান আকন্দ নামে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এই অভিযোগ করেছেন।

প্রায় দু’বছর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে যোগ দিয়েছেন শামস-উল-ইসলাম। আনসার-ভিডিপি ব্যাংকের প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের সময়েই তার বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে এ অভিযোগ দেন শাজাহান আকন্দ।
 
আনসার-ভিডিপি সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে ঋণ সহায়তা দিতে ১৯৯৬ সালের ১৮ নভেম্বর যাত্রা করে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটি গত ২০ বছরে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭১ সদস্যকে ঋণ সুবিধা প্রদান করেছে।
 
দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যাংকটির কার্যক্রম শুধু আনসার সদস্যদের ঋণ বিতরণ ও নানা রকম আর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্য হলেও শামস-উল ইসলাম ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনের সময় এর বাইরেও গ্রাহকের মাঝে ঋণ বিতরণ করেছেন।
 
এজন্য আনসার-ভিডিপি থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ঋণ বিতরণের বিধান পর্ষদ সভায় তুলে সেটি অনুমোদন করে নিয়েছেন। বিপুল অংকের ঋণ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক হওয়ায় এটি জেলা-উপজেলা সদরের একটি সরকারি ভবনে শুধু বিদ্যুৎ বিল দিয়ে কার্যক্রম চালানো হতো। শামস-উল ইসলাম যোগদানের পর সরকারি ভবন থেকে সরিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন ভাড়া নিয়ে সেটি সাজসজ্জার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয় শাজাহান আকন্দের পক্ষ থেকে।
 
এছাড়াও  তিনি অভিযোগ করেন, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের অনেক যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিলেও শামস-উল আর্থিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্যদের পদোন্নতি দিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া এই অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এ বিষয়ে কথা বলতে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে  গিয়ে শামস-উল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি দেখা করেননি। পরে মোবাইল ফোনে কল করা হয়। সেটিও ধরেননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।