ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা ইসলামী লাইফের অবৈধ বিনিয়োগ ৫২ কোটি টাকা

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
পদ্মা ইসলামী লাইফের অবৈধ বিনিয়োগ ৫২ কোটি টাকা

ঢাকা: সরকারি সিকিউরিটিজের ৫২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অন্যখাতে বিনিয়োগ করেছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


 
সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ কোম্পানির বর্তমানে পলিসি হোল্ডারদের মোট পলিসির টাকা ৩১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সেই হিসেবে ৩০ শতাংশ লাইফ ফান্ডের বিনিয়োগের বিমা আইন অনুসারে কোম্পানিকে বিনিয়োগ থাকতে হবে ৯৩ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৫ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে বিনিয়োগ করেছে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর বাকি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পুঁজিবাজারসহ অন্য খাতে বিনিয়োগ করেছে। যা সম্পূর্ন বিমা আইন লঙ্ঘন।
 
সরকারি সিকিউরিটিজের এই টাকা বিনিয়োগ করতে তিনবার ডেকে এনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে আইডিআরএ। তাদের চাহিদা অনুসারে তিন দফা সময়ও বাড়িয়েছে। কিন্তু তারপরও বিমা আইন অনুসারে জীবন বিমা পলিসি হোল্ডারদের মেয়াদ পূর্তিজনিত দায়ের ৩০ শতাংশ সরকারি বন্ড ও অন্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে না কোম্পানিটি। বরং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।
 
কোম্পানিটির অনিয়ম দূর করতে গত ২৬ অক্টোবর আইডিআরএতে কোম্পানির সিএফও এবং ইনভেস্টমেন্ট কমিটির প্রধানের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান, চার সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
শুনানি শেষে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি বন্ড এবং অন্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হলে বিমা আইন-২০১০ এর ধারা ১০ এর (ঘ) ও (ছ) উপধারাসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি সরকারি বন্ড ও অন্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে না। তাই কোম্পানিকে সতর্ক করা হয়েছে। শেষবারের মতো আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ পরিপূর্ণ করতে না পারলে নিয়ম অনুসারে শাস্তি পেতে হবে।
 
সূত্র জানায়, বিমা আইন-১৯৩৮ অনুসারে কোম্পানিকে তাদের সংগৃহীত প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ সরকারি বন্ড ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। বাকি ৭০ শতাংশ ব্যাংক, পুঁজিবাজারসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। এ আইন পালনের জন্য পদ্মা ইসলামী লাইফকে গত ১৯ এপ্রিল, ০৫ জুন ও ০৬ সেপ্টেম্বর তিন দফা বৈঠকের পর সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু কোম্পানিটি তা পালন করেনি।
 
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানের এমডি চৌধুরী ওয়াসি উদ্দিনের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করনেনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
 এমএফআই/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।