ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে দাফতরিক কাজ!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৬
হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে দাফতরিক কাজ! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দ্বিতল ভবন। অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নিচতলা। ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে ওপরতলাও। ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে বের হয়ে পড়েছে রড।

বগুড়া: দ্বিতল ভবন। অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নিচতলা।

ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে ওপরতলাও। ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে বের হয়ে পড়েছে রড।

সিঁড়ির ধাপে ধাপে অসংখ্য ফাটল। ভবনের ভেতর-বাইরের চিত্রও একই রকম। কলামগুলো যেন ভবনের ওজন আর সইতে পারছে না। শুধু ভেঙে পড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে।

মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে পুরো ভবনটি। ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা। এরপরও এবড়ো-থেঁবড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটিতেই হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে চলছে দাফতরিক কাজ।
 
ভয়ঙ্কর এ অবস্থা জেনে অনেক আগেই ভবনটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
 
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ক্ষুদ্র সেচ দফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ের চিত্র এটি।
 
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদের ভেতরে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে পশ্চিম পাশে ভবনটির অবস্থান। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটির সামনে দিয়ে তাই আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছে স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি’র ক্ষুদ্র সেচ কার্যালয় হিসেবে ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয় ভবনটি। এরপর থেকে গত চার যুগেও মেরামত বা সংস্কার করেননি সংশ্লিষ্টরা।

বিএডিসি কার্যালয়ের মেকানিক্যাল কর্মকর্তা আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে অফিসিয়াল কার্যক্রম অব্যাহত রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। আকাশে মেঘ জমলেই অফিস ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হয়। সেবা প্রার্থীদের অবস্থাও একই।

তিনি আরও বলেন, ভবনটির ভয়ঙ্কর অবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অনেক আগেই জানানো হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসে ভবনটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করে যান। কিন্তু অফিসিয়াল কাজকর্ম সারতে এখনো কোনো বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা যায়নি।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসউদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ভবনের অবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারাই ভবনটির বিষয়ে করণীয় ঠিক করবেন।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এ ভবন থেকেই অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে বলেও জানান দুই কর্মকর্তা।
 
ভবনটির সামনের স্কুল মাঠে খেলাধুলা করে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রায় শতভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ধসে তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ পারভীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
এমবিএইচ/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।