ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চুরির অভিযোগে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা!

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
চুরির অভিযোগে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা!

মোবাইল ও টাকা-পয়সা চুরির অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় মো. শুভ (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকা:  মোবাইল ও টাকা-পয়সা চুরির অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় মো. শুভ (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৪টার দিকে ৮ জনকে আসামি করে ভাষানটেক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

 

নিহত মো. শুভ (১৭) গাইবান্ধার কুঠিবাড়ির পূর্ব কমলনই গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের ছেলে। মিরপুর ১৪ এর উত্তর ইব্রাহিমপুরে বসবাস করতেন তিনি।  

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকার পুরাতন কচুক্ষেত বাজারের রজনীগন্ধা টাওয়ারের কাছে ওয়াসার পানির পাম্পের পাশ থেকে শুভকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা।

উদ্ধারের পর দ্রুত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খরব পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাষানটেক থানা পুলিশ শুভ’র লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

পুলিশ বলছে, মোবাইল ও টাকা-পয়সা চুরির অভিযোগে শুভ নামের এই ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন ওই ভবনের শ্রমিকরাই শুভকে পিটিয় হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজু মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সন্দেহভাজন ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের বড় চাচা মো. হাবিব বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলেও জানান তিনি।    

‘নিহত শুভ কচুক্ষেতের একটি স্টিল ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে তিনি কাজ করেন না বলে জানান বড় চাচা মো. হাসিব।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর)  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রজনীগন্ধা টাওয়ারের পাশের টিনশেড বাসা থেকে একজন আমার বাবাকে (শুভ’র নানা) ফোন করে বলে, আপনার নাতী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা ধারণা করছি, কেউ শুভকে মেরে এখানে ফেলে রেখে যায়। তবে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিলো কি না তা আমাদের জানা নাই।

নিহতের ছোট চাচা আবু হানিফ বাংলানিউজকে জানান, শুভ বুধবার (০৯ নভেম্বর)  রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। তারপর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।  

‘হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে’ বলেও জানান ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাজু মিঞা।    

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
এসজেএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।