ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রশিতে শৃঙ্খলা ফিরছে খিলক্ষেতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
রশিতে শৃঙ্খলা ফিরছে খিলক্ষেতে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিমানবন্দর সড়কের খিলক্ষেত রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড।

ঢাকা: বিমানবন্দর সড়কের খিলক্ষেত রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। নিকুঞ্জ, জোয়ার সাহারা, ডুমনি, দক্ষিনখান, লেকসিটি কনকর্ড ও খিলক্ষেতের বাসিন্দারা এ বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ সারা দেশে যাতায়াত করেন।

তাদের ব্যবহারের জন্য এখানে আছে বাস-বে ও ফুটওভার ব্রিজ।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এগুলোর বেশিরভাগ ব্যবহার করছিলেন না যাত্রীরা।
 
বাস-বেতে না থামিয়ে সকল বাসই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো ও নামানোর কাজ করে আসছিল। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ স্পটটিতে সারাক্ষণই লেগে থাকছিল যানজট। আবার ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে যাত্রীদেরও জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে রাস্তা পার হতে দেখা যাচ্ছিল হরহামেশা। এতেও ঘটছিল নানা ধরনের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
 
তবে এ চিত্রের এখন অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সামান্য উদ্যোগেই চরম বিশৃঙ্খল খিলক্ষেতে ফিরছে শৃঙ্খলা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা বাসগুলোকে দাঁড় করানো হচ্ছে নির্ধারিত বাস-বেতেই। যাত্রীরাও দ্রুত অথচ নিরাপদে ওঠা-নামা করছেন। আবার পথচারী ও যাত্রীদের ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে কমেছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি।
 
ফুট ওভারব্রিজের দুই পাশে রশি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এতে খিলক্ষেত রেলগেট পার হয়ে বনানী বা প্রগতি অ্যাভিনিউমুখী গাড়ির যাত্রীরা বাধ্য হচ্ছেন ফুটপাত ব্যবহার করে বাস-বেতে গিয়ে গাড়িতে উঠতে। আবার নিকুঞ্জ বা বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রীরাও বাধ্য হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার না হয়ে ফুটওভার ব্রিজে উঠতে।
 
খিলক্ষেতের বাসিন্দা হাজী ইউনুস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘সামান্য উদ্যোগ, কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে কতোটা ভূমিকা রাখছে, তা যারা এখানকার বাসিন্দা না, তারা বুঝতে পারবেন না। এতে এটা প্রমাণিত হয় যে, এখানকার দুর্ঘটনা বা বিড়ম্বনার জন্য এখানকার বাসিন্দাদের অসহযোগিতা ও অসচেতনতাই দায়ী’।
 
বনানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল বিনতে ফেরদৌস বলেন, ‘রশি দিয়ে শৃঙ্খলা ফেরানো গেছে ঠিকই। কিন্তু গাড়িতে ওঠা-নামায় এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে থাকি, কিন্তু গাড়িতে উঠতে পারি না। এরপরই তো আমরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নামি এবং বাসে ওঠার চেষ্টা করি। তাই আগে আমাদের গণপরিবহন পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে’।
 
বেসরকারি চাকরিজীবী মাহাবুব জামানের মতে, ‘বিমানবন্দরের দিক থেকে যে গাড়িগুলো আসে, সেগুলোকে এখানে ঠিকমতো দাঁড়াতেই দেয় না পুলিশ। যে কারণে সিট খালি থাকলেও আমরা তাতে উঠতে পারি না। এ বিষয়েও চিন্তা করা উচিত। তা না হলেতো রাস্তায় শৃঙ্খলা আসবে ঠিকই, তাতে মানুষের উপকার হবে না’।
 
এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ বলেন, ‘যাত্রীরা একটু সচেতন হলে এবং নিয়ম মানলে রাস্তার ৮০ শতাংশ দুর্ভোগ-দুর্ঘটনাই কমানো সম্ভব’।

তিনি বলেন, ‘এখানে বাস-বেতে গাড়ি বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেওয়া হয় না, এটা ঠিক। কিন্তু এটাতো যাত্রীদের সহায়তা করতেই। কেননা, এটা এমন একটি স্পট যেখানে একটি রেলগেট ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভারের লুপের মুখ রয়েছে। এখানে বাস দাঁড়িয়ে থাকলে পুরো সড়কেই যানজটের সৃষ্টি হবে’।


বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।