ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘দক্ষ জনশক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
‘দক্ষ জনশক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়’

দক্ষ জনশক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

ঢাকা: দক্ষ জনশক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আইডিইবি’র মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দক্ষ বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)।

মেনন বলেন, জনশক্তিকে আমাদের সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এজন্য আমাদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। আমরা যদি প্রশিক্ষিত জাতি গঠন করতে ব্যর্থ হই, তাহলে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা বরাবরই পিছিয়ে থাকবো। তাই আমাদের প্রশিক্ষিত জাতি গঠন করতে হবে।  

কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। তাই কারিগরি শিক্ষায় আমাদের এগুতে হবে এবং এই শিক্ষাকে আমাদের আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ফলে আমাদের দেশ অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে মেনন বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে যদি আমেরিকা তার দেওয়া কথা না রাখে। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া ইদানীং দক্ষিণ পন্থার উত্থান হচ্ছে। যা অনেকটা হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রুখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার বজায় রাখা।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দক্ষ বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন দক্ষ মানবশক্তি।

তিনি বলেন, জমি বর্গা দেওয়া যায় কিন্তু স্বার্থ বর্গা দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের মানবসম্পদকে আরো বেশি বিকশিত করতে হবে। এজন্য অর্থনীতিকে আরো বেশি গতিশীল করতে হবে। কোনোভাবেই নিজেদের স্বার্থকে বাদ দিয়ে বিশ্বের কাছে আমাদের শ্রম শক্তিকে বিকিয়ে দেওয়া যাবে না।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার এমপি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার যদি জনগণ কেন্দ্রিক থাকে, তাহলে সে মানবগোষ্ঠী অবশ্যই একদিন এগিয়ে যাবে। এছাড়া আজকের সরকার ও জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ। তাই আজকের সরকার যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সেখানে দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে দাঁড়িয়েছে।

আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত আছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জেপি’র মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাজী ফিরোজ রশীদ এমপি ও আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমানসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬

এসজে/এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।