ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সারাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে আইসিটি সেবা দেবে বিটিসিএল

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
সারাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে আইসিটি সেবা দেবে বিটিসিএল

২ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় করে সারা দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে আইসিটি সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

ঢাকা: ২ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় করে সারা দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে আইসিটি সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

আইসিটি সেবা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য দেশের সমগ্র জনসাধারণের জন্য টেলিডেনসিটি এবং টেলিএক্সেস সুবিধারও সম্প্রসারণ করবে সংস্থাটি।

‘মডার্নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে ১ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে চীন থেকে পাওয়া যাবে।

বিটিসিএল সূত্র জানায়, প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। বিটিসিএল-এর অাইপি নেটওয়ার্ক স্থাপন, নেটওয়ার্ক অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বিটিসিএল সূত্র জানায়, টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সকল জনসাধারণের জন্য ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-সাইন্স, ই-কৃষি এবং অন্যান্য সেবা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও গড়ে উঠবে। ফলে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জনসাধারণের স্বল্প খরচ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং শেয়ার করতে পারবে বলে জানায় বিটিসিএল।

বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সেবা সম্প্রসারণ সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী বিস্তৃত একটি আধুনিক ও শক্তিশালী আইপি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অপরিহার্য বলে মনে করে বিটিসিএল।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম-প্রধান ওসমান গনি তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, বিটিসিএল-এর মাধ্যমে দেশের আইসিটি সেবা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে সমগ্র দেশবাসীকে এই সেবা দিতে পারবো।

চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেট ব্যতীত বাংলাদেশের সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ও গ্রোথ সেন্টারে স্থাপিত টেলিফোন এক্সচেঞ্জসমূহ গড়ে ১০ থেকে ১৫ বছর চালু থাকায় এগুলোর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে।

এসব এক্সচেঞ্জ প্রযুক্তিও বর্তমানে সেকেলে এবং স্পেয়ার পার্টস না পাওয়ায় এগুলো চালু করা সম্ভব না। ফলে জরুরি ভিত্তিতে চালু না করা গেলে এক্সচেঞ্জসমূহ অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকল্পের আওতায় এই সমস্যাগুলোও সমাধান করতে পারবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।