ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শৃঙ্খলায় চলছে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সেবা কার্যক্রম

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
শৃঙ্খলায় চলছে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সেবা কার্যক্রম ছবি: রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘চোখে ছানির সমস্যা, ক্ষণে ক্ষণে পানি পড়ে। তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে এসে দেখি সিরিয়াল। ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে ১০ টাকায় টিকিট কাটার পর আবার সিরিয়ালে। তবে এবার দাঁড়াতে হলো না, সিরিয়ালে বসতে হলো।’

ঢাকা: ‘চোখে ছানির সমস্যা, ক্ষণে ক্ষণে পানি পড়ে। তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি।

সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে এসে দেখি সিরিয়াল। ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে ১০ টাকায় টিকিট কাটার পর আবার সিরিয়ালে। তবে এবার দাঁড়াতে হলো না, সিরিয়ালে বসতে হলো। ’

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে আসা চক্ষু রোগী আব্দুল হালিম।

বললেন, হাসপাতালে এসেই দেখছি অনেক রোগীর ভিড়। সু-শৃঙ্খলভাবেই চলছে এখানকার কার্যক্রম। খুব একটা হয়রানিতে পড়তে হয়নি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারসহ ১১৪, ১১৫ ও ১১৬ নম্বর কক্ষের প্রতিটিতেই রোগীর সিরিয়াল রয়েছে। কেউ বসে আছেন, অনেকেই আবার দাঁড়িয়েও রয়েছেন।

তবে সিরিয়াল ঠিক রাখতে কোনো আনসার সদস্যকে হাঁক-ডাক করতে দেখা যায়নি। রোগীরাই নিজ উদ্যোগে অনেকটা শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে সেবা নিচ্ছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও বেশ সু-শৃঙ্খলভাবে কার্যক্রম চালাতে দেখা গেলো। এ নিয়ে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে রোগীদের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালের নিচতলায় রয়েছে মেডিসিন বিভাগ। সেখান থেকে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীদের সমস্যা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের পাঠানো হচ্ছে।

চক্ষু সেবা নিতে আসা মো. ইব্রাহিম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এর আগেও আমার বাবাকে এখানে চিকিৎসা করিয়েছি। ভালো ফল পেয়েছি। তাই এবার নিজের চোখের সমস্যা দেখাতে এলাম। ’

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটির অবস্থাও বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নিচতলায় সাধারণ রোগীদের জন্যে রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। মোবাইলে রিচার্জ করার জন্যও একটি রিচার্জ বুথ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালের নয়টি বিভাগ চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-ক্যাটার‌্যাক্ট, কর্নিয়া, গ্লুকোমা, রেটিনা, অকুলোপ্লাস্টিক, পেডিয়াট্রিক অপথোমোলজি, নিউরো অপথোমোলজি, কমিউনিটি অপথোমোলজি, ও লোভিশন। রয়েছে বিনামূলে কিংবা স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন টেস্টের সুবিধাও।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, এ হাসপাতালে চোখের সব ধরনের সমস্যার চিকিৎসা ও অপারেশন করা হয়। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্যেও রয়েছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি।

‘এ হাসপাতালে মোট ৬৮ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এরমধ্যে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। প্রতি শিফটে ১৮ জন করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। কর্মরত রয়েছেন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মীও। ’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে বেশ কিছু পদ এখনও শূন্য। তবে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে শিগগির সহকারী অধ্যাপক থেকে শুরু করে প্রতিটি শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। ’

বাংলানিউজকে ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা চাই মানুষকে সঠিক সেবাটাই দিতে। এখন অনেক রোগী আসছে। অতীতে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠলেও এখন রোগীদের সঠিক সেবাটাই দেওয়া হয়।

রোগীদের সেবায় কোনো অবহেলা কিংবা কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এসজেএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।