ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডাটা ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের তাগিদ সুইডেন রাষ্ট্রদূতের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
ডাটা ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের তাগিদ সুইডেন রাষ্ট্রদূতের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিটিক্স (বিবিএস) বা পরিসংখ্যান ব্যুরোকে তথ্যের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন সুইডেন রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিশেল (Mr. Johan Frisell)।

ঢাকা: টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিটিক্স (বিবিএস) বা পরিসংখ্যান ব্যুরোকে তথ্যের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন সুইডেন রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিশেল (Mr. Johan Frisell)।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিবিএসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত 'ইউজেস অব স্ট্যাটিটিক্স ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তাগিদ দেন।



রাষ্ট্রদূত বলেন, এসডিজি বা সাসটেইনেবল ডেভেলপসেন্ট গোল (টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনের জন্য ডাটা (তথ্য) ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এজন্য ২০৩০ সালকে মাইলফলক হিসেবে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা বিবিএসকে সহায়তা করবো।

সেমিনারটি বিবিএস ও স্যাটিটিক্স সুইডেন (এসসিবি) যৌথভাবে আয়োজন করে।

বিবিএসের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কেএম মোজাম্মেল হক, আলোচক হিসেবে এসসিবির ইন্টারন্যাশনাল কনসাল্টিং অফিসের পরিচালক পারনিলা ট্রেগার্ধ (pernilla tragardh), প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মুহানাদ সামার, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক বাইতুল আমীন ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ডাটা ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোত ডাটা সেন্টার গড়া প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বিবিএসে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা থাকা দরকার। এতে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য সহায়ক হবে।

সেমিনারে বিবিএস ও এসসিবি পরিসংখ্যার ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু চিহ্নিত করে। এগুলো হলো- সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিসংখ্যান উন্নয়নে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও যোগাযোগ বৃদ্ধি, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জেন্ডার সংক্রান্ত পরিসংখ্যার প্রস্তুত ও প্রকাশের ক্ষেত্রে বিবিএসের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় সহায়তা, পরিবেশ-অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রস্তুত ও প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা করা।

কি-নোট উপস্থাপনায় মুহানাদ সামার বলেন, পরিসংখ্যান ও যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বলেন, এতে প্রমাণের ভিত্তিতে পলিসি গ্রহণ করা যায়। এছাড়া, প্রডিউসার ও পরিসংখ্যার ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে। ফলে প্রায়োরিটি ভিত্তিতে প্রডিউস হয় এবং পরিসংখ্যানের কোয়ালিটি ইমপ্রুভ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।