ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভাড়া বাড়িতেই ১১ বছর আদাবর থানা

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
ভাড়া বাড়িতেই ১১ বছর আদাবর থানা

ছয়তলা ভবনের দোতলায় একটি সাইনবোর্ড না থাকলে বোঝারই উপায় থাকতো না একটি থানা। নিচতলায় দোকান-পাট। নির্দিষ্ট পার্কিং স্পেস না থাকায় ভবনের সামনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের বাহন। সঙ্গে দীর্ঘদিন জব্দ করা মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার।

ঢাকা: ছয়তলা ভবনের দোতলায় একটি সাইনবোর্ড না থাকলে বোঝারই উপায় থাকতো না একটি থানা। নিচতলায় দোকান-পাট।

নির্দিষ্ট পার্কিং স্পেস না থাকায় ভবনের সামনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের বাহন। সঙ্গে দীর্ঘদিন জব্দ করা মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার।

এই হলো থানার হাল। উদ্বোধনের ১১ বছর পার হলেও ভাড়া বাড়িতেই চলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানার কার্যক্রম।

ডিএমপির ৪৯টি থানার মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে ছোট আদাবর থানা। শ্যামলী পুলিশ ফাঁড়িসহ পুরো আদাবর এলাকায় মোট চারটি বিট রয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার একটি ফাঁড়ি ছিলো আদাবর থানা। ২০০৫ সালের ২৭ জুন প্রতিষ্ঠিত হলেও নিজস্ব জায়গা না থাকায় ভাড়া বাড়িতেই রয়েছে দীর্ঘ ১১ বছর।
তবে খুব শিগগিরই থানাটি নিজস্ব জায়গায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানা কর্তৃপক্ষ।  

এ বিষয় জানতে চাইলে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আদাবর থানার স্থায়ী ঠিকানার জন্য দু’টি স্থানের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই থানার একটি স্থায়ী ঠিকানা হবে।

আদাবর থানার পশ্চিমে রাজধানীর শেষ সীমানা। উত্তরে দারুসসালাম আর পূর্বে মোহাম্মদপুর থানা। দক্ষিণে রয়েছে মোহাম্মাদিয়া হাউজিং প্রকল্প।
ওসি জানান, আগে এই থানা এলাকায় অনেক ছিনতাই হতো, তবে এখন কালে-ভদ্রে হয়। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। এরপর থেকে ছিনতাই অনেকটা কমেছে।

থানা সূত্র জানায়, গড়ে প্রতিমাসে মাসে ১৫টি মামলা দায়ের হচ্ছে আদাবর থানায়। তবে বড় কোনো ঘটনা অথবা শীর্ষ সন্ত্রাসী এ থানা এলাকায় নেই। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনই হচ্ছে।

পুরো আদাবর থানাকে চারটি বিটে ভাগ করা হয়েছে। চলছে বিট পুলিশের কার্যক্রম। প্রতিনিয়ত বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে বিট পুলিশ অফিসাররা।

এ বিষয়ে ওসি শাহীনুর রহমান বলেন, আদাবরের চারটি বিটে টহলের জন্য রয়েছে চারটি গাড়ি। জণসাধারণের নিরাপত্তার জন্য প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল পেট্রোলিং করা হয়।     

সরেজমিনে দেখা যায়, আদাবর রিং রোডে পুলিশের দু’টি চেকপোস্ট রয়েছে। একটি জাপান গার্ডেন সিটির সামনে, অপরটি ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে।
সন্দেহ হলেই পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করছে যানবাহনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
এসজেএ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ