ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে শ্যামলী শিশুমেলা’

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
‘এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে শ্যামলী শিশুমেলা’ ছবি- দেলোয়ার হোসেন বাদল- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

রাজধানীতে শিশুদের জন্য হাতেগোনা যে ক’টি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে ‘শ্যামলী শিশুমেলা’ একটি। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিশুদের এ বিনোদন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। 

ঢাকা: রাজধানীতে শিশুদের জন্য হাতেগোনা যে ক’টি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে ‘শ্যামলী শিশুমেলা’ একটি। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিশুদের এ বিনোদন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা।

শিশুদের মতো সব বয়সী মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় এ বিনোদন কেন্দ্রটি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব সম্পত্তি এ বিনোদন কেন্দ্রটি ভাড়ায় পরিচালিত। ২০০২ সালের পর কর্তৃপক্ষ এর কোনো ভাড়া এমনকি বিদ্যুৎ বিলও দেয়নি, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে শিশুমেলা সিলগালা করে দেন ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক।  

তবে আশার কথা হলো- এক সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশন শিশুমেলার গেট খুলে দেবে।  
 
এদিকে, সরেজমিন দেখা যায় শিশু মেলার দুই গেটে দু’টি নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, শিশুমেলাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তি। অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।  

নোটিশে আরো বলা হয়েছে- ‘অচিরেই পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ‌’
 
শিশুমেলা আবার কবে চালু করা হবে জানতে চাইলে মেয়র আনিসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে শিশুমেলা আবার খুলে দেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে মিটিং করেছি। আজও বসবো। কিভাবে চালু করা যায়, শুধু চালু করলেইতো হবে না, এর ব্যবস্থাপনা কিভাবে করা যায়, সব ঠিক করেই চালু করতে হবে। ‌’
 
তিনি আরো বলেন, ‘গত ১২ বছর কিভাবে এ বিনোদন কেন্দ্রটি চালানো হলো, আমি ভেবেই পাইনা। একটি টাকাও তারা দেয়নি। ওয়ান্ডারল্যান্ড যারা পরিচালনা করতো তারাই শ্যামলী শিশুমেলা পরিচালনা করতো। ‌’

শিশুমেলাটি আরও একটু সাজিয়ে গুছিয়ে পরিচালনার চিন্তাভাবনা রয়েছে ডিএনসিসি’স।
 
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে শ্যামলী শিশুমেলা গেটে গিয়ে দেখা যায় আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি মানিকগঞ্জ থেকে শিশু হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন চিকিৎসক দেখাতে।  
 
চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ শেষ করে মেয়ে জান্নাতুলকে নিয়ে গেটে অপেক্ষা করছেন শিশুমেলায় প্রবেশের জন্য। গেটে কথা হয় আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী নার্গিস আক্তারের সঙ্গে। তারা জানান, ডাক্তার দেখানোর পর মেয়েকে বলেছি শিশু মেলায় নিয়ে যাবো। তাই এখানে আসা। এসে দেখি গেট বন্ধ, ভাবলাম রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। পরে নোটিশে দেখি ‘সাময়িক বন্ধ’। তাই ফিরে যাচ্ছি।  
 
শিশু মেলার দুই নম্বর গেটের পাশে ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করছেন মো. আব্বাস। তিনি জানান, শনিবার মেয়র এসে শিশুমেলা বন্ধ করে দিয়েছেন। বন্ধ করার সময় বলেছেন, ২০০২ সালের পর থেকে শিশুমেলার ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বাকি। প্রায় সোয়া লাখ টাকা নাকি বাকি পড়ছে। তাই বন্ধ করে দিয়েছে।  
 
তিনি বলেন, টিকিট কাউন্টারে যে লোক কাজ করেন সকালে তিনি এসেছিলেন। এসে বললেন মালিক দেশের বাইরে, দু’একদিনের মধ্যে আসবেন। আসলে আবার চালুর ব্যবস্থা করবেন।
 
এদিকে ২৬ নভেম্বর শিশুমেলার গেটে সিলগালা করার পর দেখভালের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গেটে কথা হয় আনসার সদস্য এমদাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি  জানান, আমরা তিনজন আছি যেন বাইরের কেউ এখানে আসতে না পারেন। এখন পর্যন্ত মালিক বা তার লোক কেউ আসেননি। শুধু সকালে ভেতরের দোকানের লোকজন এসেছিলেন, তারা বাইরে থেকেই চলে গেছেন। ভেতরে যেসব দোকান ছিল সেগুলোতে এখনও মালামাল রয়েছে বলে জানান আনসার এমদাদ।  
 
এদিকে শিশুমেলা ১ নং গেটে বেশকিছু দর্শনার্থীকে অপেক্ষার পর শিশুদের নিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।