ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নাসিক নির্বাচনের আলোচনায় পাঁচ তরুণ প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
নাসিক নির্বাচনের আলোচনায় পাঁচ তরুণ প্রার্থী

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রতীকের বরাদ্দের আগেই বেশ আলোচনায় রয়েছেন পাঁচ তরুণ কাউন্সিলর প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রতীকের বরাদ্দের আগেই বেশ আলোচনায় রয়েছেন পাঁচ তরুণ কাউন্সিলর প্রার্থী।

আর পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থীই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান।

যদিও একটি ওয়ার্ডেই রয়েছেন দু’জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লষকরা। কারণ তারা দু’জনই আপন ভাই।

জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১৭নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজুল কাদির মিমন।

মিমন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদিরের ছেলে। সেই সঙ্গে নাসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর ভাগনে।

তরুণ এ প্রার্থী ওই ওয়ার্ডে বেশ আলোচিত। এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আলমগীর ইসলাম এবার নির্বাচন করছেন না। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ও ফারহানা করিম। তাদের মধ্যে বাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে মিমনের সম্ভাবনাও আছে।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্যানেল মেয়র ওবায়েদউল্লাহ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, রিয়াদ হাসান সাইদুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, সৈয়দ ওমর খালেদ, আল আমিন প্রধান।

তবে এসব প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন ওবায়েদউল্লাহ, তার ভাইপো রিয়াদ হাসান ও নাজমুল আলম সজল। ওবায়েদউল্লাহর বিরুদ্ধে একই পরিবারের রিয়াদ হাসান প্রার্থী হওয়ায় নতুন করে ভাবনায় পড়ে গেছেন ওবায়েদউল্লাহ।

ইতোমধ্যে এলাকাতে প্রতিদিন উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে আলোচনায় চলে এসেছেন রিয়াদ। তারও আশা এবার তিনি বৈতরণী পার হতে পারবেন।
২৩নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা। আবুল কাউসার আশা হলেন নারায়ণগঞ্জের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের ছেলে।

অন্যদিকে ৫নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে দুই ভাই সাদরিল ও সানবির। তারা দু’জনই বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের ছেলে। যদিও এ ওয়ার্ড থেকে গিয়াসউদ্দীনের আরো এক ছেলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তানভীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে শেষতক এখানে একজনই থাকবে তাদের মধ্যে থেকে। তিনজন মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রধান কারণ হলো মামলা সংক্রান্ত জটিলতা। তাদের বিরুদ্ধে বেশকটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।

যেকোনো কারণে দু’জনের বাতিল হলে অন্তত একজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ৪ ডিসেম্বর। ওই দিন হয়তো নির্বাচনে যেকোনো কারণে একজনকে প্রত্যাহার করা হতে পারে।

এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বেশ আলোচনায় রয়েছেন এ পাঁচজন তরুণ প্রার্থী। শেষতক তিনজন নির্বাচন করলেও এ তিনজনের জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী তার অনুসারীরা।

সবচেয়ে তরুণ বয়সে এ প্রার্থীদের নিয়ে উৎসাহ রয়েছে বেশ। তিনটি রাজনৈতিক পরিবারের এ সন্তানদের জনসেবায় দেখতে চায় সাধারণ মানুষও।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬

এএটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।