ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পোড়া স্তূপে সব হারানোর আর্তনাদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
পোড়া স্তূপে সব হারানোর আর্তনাদ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কড়াইল বস্তির প্রায় ৫০০ ঘর-বাড়ি এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে গেছে এসব ঘর-বাড়ি। ঘরের চালার টিন বা লোহার কোনো আসবাপত্র ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই এখানে।

ঢাকা: কড়াইল বস্তির প্রায় ৫০০ ঘর-বাড়ি এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে গেছে এসব ঘর-বাড়ি।

ঘরের চালার টিন বা লোহার কোনো আসবাপত্র ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই এখানে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। ততক্ষণে পোড়া স্তূপে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা। তাদের আশা, যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে।

যতই পোড়া স্তূপে চালার টিন উল্টে পাল্টে খুঁজে দেখছেন, ততই ভারী হচ্ছে দীর্ঘশ্বাস। মুহুর্তেই চোখের সামনে সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত নিম্নবিত্ত এসব মানুষ।

'কিচ্ছু নাই, সব শেষ' বলে আহাজারি করতে থাকা নিঃস্ব মানুষগুলোর কণ্ঠে কেবল আর্তনাদ। আজ রাতে তারা কোথায় থাকবেন, কী খাবেন, এ নিয়ে তাদের দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই।

পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী খোরশেদা বেগম প্রায় ২০ বছর ধরে এই বস্তিতে থাকেন। দুই ছেলে ও স্বামীসহ চলতি মাসের এক তারিখেই বস্তির এক বাসা পরিবর্তন করে নতুন বাসায় উঠেছেন।

তিনি বলেন, মাছ কাইটা খালি রাখছি, আর তহন চিল্লানি হুনলাম আগুন। কোনো মতে ঘর থেইকা জানডা লইয়া বাইর হইয়া দেহি পুরা এলাকায় আগুন ছড়াইয়া গেছে।

মুদি দোকানি বাদল দোকানের পোড়া ক্যাশ বাক্স দেখিয়ে বলেন, ‘ক্যাশের টাকাগুলো নিয়েও বাইর হওয়ার সময় পাইলাম না। পয়সাগুলো ছাড়া আর কিছুই নাই।

আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা মোহাম্মদ আলী বলেন, আগুনের অবস্থা খারাপ দেখে বউ ঘটনাস্থলের দুইপাশে ঘরগুলো ভেঙে দেয় স্থানীয়রা। ফলে আগুনটা বাইরে ছড়াতে পারেনি, ভেতরেই জ্বলে। ফায়ার সার্ভিস অনেক্ষণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
পিএম/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।