ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কসমেটিক ব্যবসার আড়ালে মুদ্রা পাচার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
কসমেটিক ব্যবসার আড়ালে মুদ্রা পাচার!

কসমেটিক ব্যবসার আড়ালে মুদ্রা পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাসহ নওশের রায়হান (৩৪) নামে রাজধানীর চকবাজারের এক কসমেটিক ব্যবসায়ী আটক করা হয়েছে।

ঢাকা: কসমেটিক ব্যবসার আড়ালে মুদ্রা পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাসহ নওশের রায়হান (৩৪) নামে রাজধানীর চকবাজারের এক কসমেটিক ব্যবসায়ী আটক করা হয়েছে।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

ড. মইনুল জানান, ব্যাংকক যাওয়ার প্রাক্কালে আটক করা হয় নওশের রায়হানকে। তার বাড়ি লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ পাচপাড়া এলাকায়। তিনি ঢাকার চকবাজার এলাকায় কসমেটিকস পণ্যের ব্যবসা করেন।

ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টায় বিজি০০৮ ফ্লাইট যোগে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন যাত্রী নওশের। এয়ারলাইন্স থেকে বোডিং কার্ড নিয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন তিনি। তার সিট নম্বর ৬সি।

প্লেনে ওঠার প্রাক্কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে তার গতিরোধ করা হয়। পরে কাস্টমস হলে এনে তার সাথে থাকা বাদামি রঙের হ্যান্ড ব্যাগে তল্লাশি করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাগে বিদেশি মুদ্রা থাকার কথা অস্বীকার করলেও স্ক্যানিং করে ব্যাগের ভেতরে রাবারের ব্যান্ড দিয়ে পেচানো অবস্থায় কাগজের মুদ্রার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়।

পরে তল্লাশি চালিয়ে ৪৯ হাজার সৌদি রিয়াল, এক হাজার ইউরো, ১৩ হাজার কাতারি রিয়াল, ২০ হাজার ইউএই দিরহাম, ১ হাজার ৩৬০ থাই বাথ জব্দ করা হয়। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা।

অবৈধভাবে বহন করা এসব বিদেশি মুদ্রার কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি নওশের। তবে নিজেকে চকবাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন তিনি। চকবাজারে নাফিজ স্টোর নামে তার একটি দোকান রয়েছে।
ড. মইনুল খান জানান, কসমেটিক চোরাচালানে ব্যবহারের জন্য এ মুদ্রা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাসপোর্ট যাচাই করে দেখা যায়, এ বছর তিনি ১৯ বার দুবাই যাতায়াত করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে এ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, চোরাচালানের মাধ্যমে থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে কসমেটিক এনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন তিনি।

কোন মুদ্রা পাচারকারী নেটওয়ার্ক এর সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।