ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নত দ. এশিয়া গড়তে একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
উন্নত দ. এশিয়া গড়তে একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ভৌগলিক নৈকট্য, ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন মূল্যবোধের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কাঠামোর আওতায় পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

সংসদ ভবন থেকে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ভৌগলিক নৈকট্য, ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন মূল্যবোধের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কাঠামোর আওতায় পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আমরা বিশ্বাস করি, কোন দেশ এককভাবে উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে না।

এজন্য প্রতিবেশী দেশসমূহের সহায়তা প্রয়োজন। দারিদ্র্য ও বঞ্চনা মুক্ত একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দক্ষিণ এশিয়া আমাদের স্বপ্ন, আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই।
 
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ত্রয়োদশ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবস শুরু হয়।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশসহ সার্বিকভাবে বহির্বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০০৯  সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কূটনৈতিক উদ্যোগ ও নানামুখী কার্যক্রম শুরু করেছে এবং তা অব্যাহত আছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ রয়েছে।
 
তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি বর্তমান  সরকারের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রাধিকার। দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বিত ও সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আমাদের মূল লক্ষ্য। এটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলের দেশসমূহের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনের মত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যা সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, চলমান দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম মনিটরিং এবং অনিষ্পন্ন বিষয়াদি সম্পন্নের কাজ চলছে। পাশাপাশি ক্ষেত্র বিশেষে নানাবিধ দ্বিপাক্ষিক/প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু/ বৃদ্ধির কাজ চলছে। সহযোগিতা কার্যক্রম আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়, রাজনৈতিক পর্যায়সহ অন্যান্য সকল প্রচেষ্টাও চলমান আছে। ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে আমরা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রম শুরু করেছি (বিবিআইএন)।
 
তিনি বলেন, গতানুগতিক ক্ষেত্র ছাড়াও নতুন নতুন এবং নন ট্রেডিশনাল ক্ষেত্রে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে যা মাত্র এক দশক আগেও অচিন্ত্যনীয় ছিল। এ সবই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন ব্যাপ্তি ও গভীরতা প্রদান করেছে।

আরও পড়ুন-

'ম্যাডাম সু চির সঙ্গে কথা হয়েছে'

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।