ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির আবেদন যাচাই শুরু ৭ জানুয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৬
মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির আবেদন যাচাই শুরু ৭ জানুয়ারি

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদনকারীদের আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্ব স্ব উপজেলায় যাচাই বাছাই চলবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদনকারীদের আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্ব স্ব উপজেলায় যাচাই বাছাই চলবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা নিয়ে গ্রামীণফোনের উদ্যোগে ‘একাত্তরের কথা’ শীর্ষক ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান মন্ত্রী।
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করেও যারা তালিকাভুক্ত হতে পারেননি, যারা অনলাইনে আবেদন করেছেন, লাল মুক্তি বার্তা ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বাইরে যারা বিভিন্ন সনদ নিয়েছেন তাদের ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ জানুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি স্ব স্ব উপজেলায় যাচাই বাচাই করা হবে।

মুক্তিযোদ্ধারা যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যান সেজন্য তাদের জন্য আলাদা একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধা যারা মারা গেছেন তাদের কবর একই ডিজাইনে করা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধস্থল এবং বধ্যভূমিও একই ডিজাইনে সংরক্ষণ করার কথাও জানান তিনি।
 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদেরও ইতিহাস সংযুক্ত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেন স্বাধীনতা বিরোধীরা হারিয়ে না যায়, তাদের অপকর্ম মানুষ যেন জানতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস প্রকাশের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।
 
একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত মা-বোনদের ইতিহাসও সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
 
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে যারা অভিযোগ তুলছে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন নির্যাতিত মানুষের লাশ কুকুর-শেয়াল-শকুন খেয়েছে, খাল-বিল-নালায় ভেসেছে তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল, প্রশ্ন তোলেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী।
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার বি. ফারবার্গ ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।