ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ছুটির দিনে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
ছুটির দিনে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছুটির দিনে বরাবরই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে।

চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে: ছুটির দিনে বরাবরই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) চিড়িয়াখানার টিকিট কাউন্টারে দেখা যায় টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। কাউন্টারের সবগুলোতেই টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘলাইন।

আর দর্শনার্থীদের অধিকাংশই বাঘ, সিংহ, জিরাফ, গন্ডার, ময়ূর, বানর, উট, হাতি, কুমিরসহ বিভিন্ন প্রাণীর শেডের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে ভিড় করেছিলেন।

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আব্দুর রহিম পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। বানরের শেডের সামনে দাঁড়িয়ে ছোট্ট মেয়েকে বানরের খেলা দেখাচ্ছেন। আর ছোট্ট লাবিবাও বেশ খুশি বানরের খেলা দেখে। লাবিবা বাংলানিউজকে বলেন, চিড়িয়াখানায় এসে অনেক ভালো লাগছে। বানরের খেলা দেখে আমি খুব খুশি।

ভারতীয় সিংহের শেডের সামনে দর্শনার্থীদের জটলা। লাল-ধূসর রঙের সিংহ দু’টিকে ভারতের গুজরাট থেকে আনা হয়েছে। তবে তাদের বেশ ক্লান্ত দেখা গেলো।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিউলী আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গা খুব কম। পরিবারের সবাই মিলে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় বিষয় পরিবারের সবাই মিলে অনেক আনন্দ হলো।

চিড়িয়াখানার একপ্রান্তে বাউন্ডারির ভেতরে গলা তুলে হেঁটে বেড়াচ্ছে জিরাফ। হঠাৎ জিরাফটি এগিয়ে এলে দর্শনার্থীদের জটলা লেগে যায়। চিড়িয়াখানায় এসেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী হুমায়রা খাতুন। তার অনুভূতি, সপ্তাহের ‍অন্যান দিন বাবার সময় হয়না। তাই আজ বাবাকে নিয়ে এসেছি। চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন পশু-পাখি দেখে অনেক ভালো লাগছে।

অন্যদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যাও কম ছিলোনা। পরিবার নিয়ে অনেকেই এসেছেন নিরিবিলি সময় কাটাতে।

ঘুরতে আসা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জায়গাটা অনেক সুন্দর। এখানে হাজারো বাহারি গাছ রয়েছে। অপরিচিত অনেক উদ্ভিদের নামও জানা গেলো।

কিন্ত এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩,২০১৬
এসজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।