ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যানার-ফেস্টুনের আবরণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
ব্যানার-ফেস্টুনের আবরণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্রতিবছর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামবে লাখো জনতার।

সাভার (ঢাকা): প্রতিবছর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামবে লাখো জনতার।

শুধু সর্বস্তরের জনতাই নয়, দিবসটির প্রথম প্রহরেই স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতাসহ দেশ-বিদেশের অতিথিরা।

তাই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ এর আশপাশের সমগ্র এলাকাজুড়ে থাকবে নিরাপত্তার এক নিবিড় চাদর।

তবে এত প্রস্তুতি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে সামান্য একটু ত্রুটির কারণে। আর তা হলো সড়কে দুই পাশে লাগানো শত শত ব্যানার, সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন।

বিভিন্ন নেতাকর্মী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টারসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের ছোট বড় এ সব ব্যানার, সাইনবোর্ড ছেয়ে আছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশ।

এর ফলে স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একাধিক বারের হুঁশিয়ারি ও আহ্বানের কোনোটাই কাজে আসেনি। সব কিছুকে উপেক্ষা করে এবারও বিজয় দিবসকে ‍সামনে রেখে মহাসড়কের আশ-পাশ ছেয়ে ফেলা হয়েছে এ সব ব্যানার-ফেস্টুনে।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, সিএন্ডবি, বিশমাইল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মহাসড়কের সব এলাকা জুড়েই রয়েছে এ সব ব্যানার- ফেস্টুন। এছাড়া সাভার নিউমার্কেট, সাভার সিটি সেন্টারসহ বড় বড় বিপণি বিতানগুলোর সামনেও ঝোলানো হয়েছে ব্যানার- ফেস্টুন। ফলে মাঝে মধ্যেই সাধারণ জনগণ ও পথচারীকে পড়তে হচ্ছে বড় ধরনের বিপদে।

সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে রাত ১০টার দিকে বাস থেকে পাকিজার সামনে নামি। বাসায় যাওয়ার জন্য একটু এগোতেই রাস্তার পাশে গাছের সাথে লাগানো একটি ব্যানারের আড়াল থেকে একজন লোক বেরিয়ে এলো। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি ছুরি বের করে সামনে ধরলো। এক মিনিটের মধ্যেই আরো দুজন এগিয়ে এসে আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা সবকিছু লুট করে পালিয়ে যায়।

এমন দৃশ্য সড়কের পাশে হরহামেশাই লক্ষ্য করা যায়। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই আবার ঝামেলা হবে ভেবে থানায় কোন অভিযোগ পর্যন্ত দেয় না।

আমির হোসেন আরো বলেন, এ ভাবে রাস্তার পাশে ব্যানার-ফেস্টুন কি না লাগালেই নয়? এগুলো আমাদের কোন উপকারে আসে না বরং চোর, ছিনতাইকারী, পকেটমারের উপকারে লাগে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (ঢাকা) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জোহা বলন, আমরা খুবই জলদি এ সব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করবো। তবে মহাসড়কের পাশে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো বন্ধের ব্যাপারে কোন স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না সে ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়:১১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।